তিনি বলেন, ‘উনার অবস্থা স্থিতিশীল আছে। উনি (খালেদা জিয়া) এখন পর্যন্ত চিকিৎসকদের পরামর্শ মোতাবেক যে চিকিৎসা উনাকে দেয়া হচ্ছে; সেই চিকিৎসা উনি ঠিকমতো গ্রহণ করতে পারছেন। উনার শারীরিক অবস্থা গত কয়েকদিন পূর্বেও যে অবস্থায় ছিল… আলহামদুলিল্লাহ উনি সেটি মেনটেইন করতে পারছেন।’
গত ২৩ নভেম্বর খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। এর তিন দিন পর তার ফুসফুসে সংক্রামণ হলে তার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
‘আশাবাদী আমরা’
বিএনপি চেয়ারপারসন সুস্থ হয়ে উঠবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘উনার সঙ্গে সম্পৃক্ত আমরা যারা এই হসপিটালের চিকিৎসকরা অত্যন্ত আশাবাদী ইনশাআল্লাহ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাবেন।
‘তারপরেও মনে রাখতে হবে, উনার বয়সের চেয়ে বেশি উনার যে অসুস্থতা এবং উনাকে পরিকল্পিতভাবে যেরকম অসুস্থ অবস্থার মধ্যে বিগত সময়ে ঠেলে দেয়া হয়েছে, চিকিৎসা দেয়া যায়নি অথবা দিতে দেয়া হয়নি; সে কারণেই উনার শারীরিক জটিলতা মারাত্মকভাবে বেড়ে গিয়েছে…. এবার উনি বেশি সময় পার করছেন।’
‘তারেক রহমান-জুবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক দেখছেন’
জাহিদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি শুধু আপনাদের এইটুকু অবহিত করতে চাই। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, উনার সহধর্মিণী জুবাইদা রহমান সব সময় উনার চিকিৎসার ব্যাপারে সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি করছেন এবং উনার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিণী সৈয়দ শামিলা রহমান, ম্যাডামের ভাই শামীম এস্কান্দার, বড় বোন সেলিনা ইসলামসহ পরিবারের সদস্যরা সার্বক্ষণিকভাবে আছেন, খোঁজ-খবর রাখছেন। উনার পাশে তো আর থাকা যাচ্ছে না; যেহেতু উনি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে আছে। আজ উনারা হসপিটালে অথবা হসপিটালের বাইরে অবস্থান করে উনার চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছেন।’
এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান, উপদেষ্টাগণ, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ, এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অধ্যাপক জাহিদ।
‘নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান’
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘এই হাসপাতালে আরও অনেক রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। সেই সমস্ত রোগীদের চিকিৎসা যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহযোগিতা করছেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে সকলকে অনুরোধ করতে চাই, এই হসপিটাল সবার জন্য উন্মুক্ত। এই হসপিটালের সেবা গ্রহণ করার সুযোগ সবারই আছে।
‘কাজেই আপনারা পূর্বে যারা সেবা গ্রহণ গ্রহণ করবেন এবং কোনো অবস্থাতেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য আপনাদের চিকিৎসার কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না এবং আমরা কোনো নেতাকর্মী কোনো ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি করব না। এটা আমরা বিশ্বাস করি, এটা আমরা আশা রাখি।’





