হাজারও মানুষের মধ্যে ছিল বাঁধভাঙা উল্লাস, তবে তারা ৩০ লাখ শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করতে ভুলেননি। অনেকেই দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলাচ্ছিলেন, হাতে নানা রঙের ফুল নিয়ে শহিদদের প্রতি সম্মান জানাচ্ছিলেন। কেউ কেউ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর নীরবতা পালন করেছেন।
সাভারের সিআরপি এলাকা থেকে কন্যা নিয়ে আসা ছাবিহা জান্নাত বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের কারণে দেশ পেয়েছি। এই দিনে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা উপলব্ধি করে শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।’
আরও পড়ুন:
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তামজিদ আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আজ নানা হুমকির মুখে। স্বাধীনতাবিরোধীদের আস্ফালন চলছে। তাই শহিদদের প্রতি আরও বেশি আবেগ অনুভব করছি। এজন্য বন্ধুদের সঙ্গে এসেছি শ্রদ্ধা জানাতে।’
এর আগে, সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল শহিদদের প্রতি রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করা হয় এবং বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ ত্যাগের পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রধান ফটক খুলে দেয়া হয়। এরপর থেকেই সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।





