চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড়, আধুনিক ও লাভজনক টার্মিনাল নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল। ২০০৭ সালে নির্মিত হলেও টার্মিনালটি পূর্ণাঙ্গ অপারেশনে যায় ২০১৫ সালে।আড়াই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের এই টার্মিনাল বছরে প্রায় ১৩ লাখ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। বন্দরের আয়ের বড় অংশ আসে এই টার্মিনাল থেকে।
পতিত সরকারের আমলে এনসিটি বিদেশিদের দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। বন্দরের শ্রমিক কর্মচারী, বন্দর ব্যবহারকারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের আন্দোলন ও বিরোধিতার পরও অন্তর্বর্তী সরকার এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছিলো।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলে আসছেন,সম্পূর্ণ রেডি এ টার্মিনাল বিদেমি বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। কৌশলগত ভাবে এর সঙ্গে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার ও জাতীয় স্বার্থ জড়িত।
আরও পড়ুন:
গত ৩০ জুলাই এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। এরপর চুক্তি প্রক্রিয়ার স্থিতাবস্থা চেয়ে সম্পূরক আবেদন করে রিট আবেদনকারীর পক্ষ। এ আবেদনের ওপর রুল শুনানি শেষে গত ১৯ নভেম্বর চুক্তির সব কার্যক্রম স্থগিত রাখতে সরকারকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলে দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফাতেমা নজীব চুক্তির প্রক্রিয়াকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে কনিষ্ঠ বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ার এটিকে বৈধ বলে রায় দেন। এখন প্রধান বিচারপতিকে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ গঠন করতে হবে।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘বিদেশিদের দেয়ার ব্যাপারে রায় দ্বিধাবিভক্ত হয়েছে। মাননীয় প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে রায় সই হওয়ার পরে।’
সিনিয়র অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম বলেন, ‘তখন তিনি আরেকটি বেঞ্চের কাছে পাঠাবেন। তখন তৃতীয় বেঞ্চ একক বেঞ্চ হবে। তিনি যার সঙ্গে সমর্থন করবেন সেটি তখন মেজরিটি হবে।’
এনসিটি ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দেয়ার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে হাইকোটের দ্বিধাবিভক্ত রায় এনসিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও জটিলতা বাড়ালো।





