তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) হজরত আয়েশা, হজরত খাদিজা এবং অন্যান্য সাহাবিয়াত উম্মাহাতুল মুমিনিনদের সঙ্গে নিয়ে সমাজ পরিবর্তন করেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। এমনকি যুদ্ধের ময়দানে মা-বোনদের উপস্থিতি দেখা গেছে। ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণে নিবরাস মাদরাসা একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।’
ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘মা-বোনদের কোরআনের আলো দিতে পারলে তারা হাফেজা, আলেমা, মুহাদ্দিসা বা স্কলার হিসেবে সমাজ ও রাষ্ট্রের সব জায়গায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন দিনের স্বপ্ন দেখার সময় এসেছে; ভেদাভেদ ভুলে আমরা একে অপরের হাত ধরে সামনের দিকে এগোতে হবে। অন্যকে সম্মান না করলে নিজেও সম্মান আশা করা যাবে না।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘মতপার্থক্য থাকলেও বিভেদ ছাপিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, যা কালেমা তাইয়েবায় নিহিত।’ তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সরকার জাতির জন্য এক সুযোগ সৃষ্টি করেছে; এটি হাতছাড়া করলে আরও ৫৪ বছর অপেক্ষা করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ১৬৭ জন শিক্ষার্থীকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীরা ইসলামী গান, কোরআন তিলাওয়াতসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেন। ড. খালিদ হোসেন বলেন, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী মাদ্রাসা শিক্ষা বিস্তৃত করার সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। তিনি সবাইকে মতাদর্শিক ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশ একটি ভালো সরকার পাবে।





