তবে, সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে স্বাক্ষরিত জুলাই সনদ লঙ্ঘন করেছেন। তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ নতুন ধারণা। ঐকমত্য কমিশনে এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অর্ডিন্যান্স জারির ক্ষমতা রয়েছে; কিন্তু আদেশ জারির ক্ষমতার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। তবে মূল দলিল থেকে প্রধান উপদেষ্টা বহুদূর সরে গিয়েছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণভোটের প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের বিষয়ে একমত বিএনপি। সংবিধান বাস্তবায়ন আদেশের সঙ্গে বহু গরমিল রয়েছে জুলাই স্বাক্ষরিত সনদে। গণভোটের জন্য চারটি প্রশ্ন জনগণের ওপর জবরদস্তিমূলক। যেসব বিষয়ে জবরদস্তিমূলক করা হয়েছে, মনের মাধুরী মিশিয়ে অনেক কিছু আনা হয়েছে, রাষ্ট্রে ঐক্যের পরিবর্তে কী বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে; আর এই বিভাজনের দায় কি প্রধান উপদেষ্টা নেবেন কি না।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘সার্বভৌমত্বের এখতিয়ার সংসদ ও তার সংসদের, কিছু চাপিয়ে দেয়া এখতিয়ার বহির্ভূত। যেসব ধারণা উপস্থাপন করা হচ্ছে তা সাংঘর্ষিক। দেশে সংকট তৈরি করেছে সরকার এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, আলোচনার বাহিরে তারা যাবেন কেন? রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যেই সনদ স্বাক্ষর করলেন, সেটাই বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। কোনো পক্ষের প্রস্তাব রাখা হলো কি না, সেটা বিষয় নয়।’
এর আগে, জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন আয়োজিত গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিগণ একইসঙ্গে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।





