স্ট্যাটাসে মির্জা ফখরুল লেখেন, আমি গত দুদিন ধরে ঠাকুরগাঁওয়ে আছি। কিছু কথা বলা এখন খুব জরুরি, আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ ও তরুণ প্রজন্মের জন্য। জীবনের এই প্রান্তে এসে যখন দেখি, সমাজে কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে মিথ্যার চাষ করছে, তখন বলা আরও জরুরি।
বিএনপি মহাসচিব জানান, তার বাবা মির্জা রুহুল আমিন ১৯৭১ সালে মার্চের ২৭ তারিখে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে নানাবাড়িতে যান এবং পরবর্তীতে ভারতে ইসলামপুরে রিফিউজি ক্যাম্পে আশ্রয় নেন।
তিনি লেখেন, আমার বাবা যুদ্ধের প্রায় পুরোটা সময় রিফিউজি ক্যাম্পে ছিলেন। ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ফিরে আসেন, দেখেন সব লুট হয়ে গেছে। আমার মা গয়না বিক্রি করে সংসার চালান। আমি তখন অর্থনীতির শিক্ষক হিসেবে চাকরি শুরু করি এবং প্রথম বেতন মায়ের হাতে তুলে দিই।
আরও পড়ুন:
ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার পর বাবার বিরুদ্ধে কখনো কোনো মামলা হয়নি। বরং, ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের সূচনা হয়েছিল বাবার হাতেই।
‘ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিটি সৎ মানুষ জানেন, আমার বাবার অবদান। তার মৃত্যুতে ১৯৯৭ সালে সরকারিভাবে শোক প্রকাশ করা হয়েছিল,’—লেখেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, তার বাবাকে নিয়ে মিথ্যাচার শুরু হয় ‘আওয়ামী শাসনামলে’ এবং সাম্প্রতিক সময়ে ‘জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু গোষ্ঠীও’ সেই প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, মিথ্যা, গুজব ও অপবাদ সমাজ ধ্বংস করে। আমি আমার সারাজীবন এই দেশ ও জাতির জন্য দিয়েছি। গত বছর জুলাইয়ে তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশকে আশা দেখিয়েছে। আমি আশা করব, নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশে মিথ্যার চাষ হবে না। তারা সত্য, মেধা ও সততার পথে থাকবে।
পোস্টের শেষে তিনি কুরআনের উদ্ধৃতি দেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ।’ (সূরা আল-হুজুরাত)





