আজ (রোববার, ৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি, অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ইতিবাচক জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্বিক দিকের অগ্রগতি ভালো। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, তবে এর বিপরীতে বাসাভাড়া ও পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় মাত্রায় আনতে।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সামগ্রিকভাবে বাজারে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে এবং চালের দামও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি ছাড়ের প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, কিস্তি নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে তিনি জানান, ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে আসবে না। প্রতিষ্ঠানটি রাজনৈতিক সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে থাকা সমস্ত তথ্য পরবর্তী সরকারের কাছে প্যাকেজ আকারে হস্তান্তর করা হবে।
অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, সরকার অপরিশোধিত তেল আমদানির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং সার ও কৃষিতে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি অব্যাহত রাখা হচ্ছে। আজকের ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন দেশ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টন সার ও ৫০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজকের সভায় আমন মৌসুমের জন্য ধান ও চাল সংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বছর আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরকার ৭ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে—ধান ৫০ হাজার ৫০০ টন, সেদ্ধ চাল ৬ লাখ টন,ও আতপ চাল ৫০ হাজার টন। সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি—আমন ধান ৩৪ টাকা, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা ও আতপ চাল ৪৯ টাকা।
উল্লেখ্য, ধান ও চালের এই নির্ধারিত দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি চার টাকা বেশি। এই ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হবে এবং ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলবে।





