দ্বীপ জেলা ভোলার সর্ব দক্ষিণের উপজেলা চরফ্যাশন। এক হাজার ১০৬.৩১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ জনপদে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ বাস করে। জেলা সদর ভোলা থেকে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরফ্যাশনের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। আঞ্চলিক মহাসড়কে চরফ্যাশনের সঙ্গে জেলা সদরের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ থাকলেও সেখানকার মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যের মোকাম হচ্ছে রাজধানী ঢাকা।
আর ঢাকার সঙ্গে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের লঞ্চযোগে যোগাযোগ হয়ে থাকে। চরফ্যাশনের যে কয়টি লঞ্চঘাট রয়েছে তার মধ্যে বেতুয়া ঘাটটিই সবচেয়ে বৃহৎ ও যাত্রীবহুল। বেতুয়া নদী বন্দরটি চরফ্যাশন উপজেলা এবং মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত।
২০২১ সালের ১২ অক্টোবর একটি গেজেটের মাধ্যমে বন্দরটি ঘোষিত হয়। জনসাধারণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক ও ঝুঁকিমুক্ত ভ্রমণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে এ টার্মিনালটির প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
তিন তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক এ টার্মিনালটি উপকূলীয় জেলা ভোলার একমাত্র দৃষ্টিনন্দন লঞ্চ টার্মিনাল। উন্নতমানের অবকাঠামো ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বেতুয়া নদীর পাড়ে আট শতাংশ জমির উপর সাড়ে তিন হাজার স্কয়ার ফিটের তিন তলা বিশিষ্ট আধুনিক লঞ্চ টার্মিনালটি নির্মিত হয়।
আরও পড়ুন:
ভবনটিতে যাত্রীদের ভ্রমণে অপেক্ষার জন্য আরামদায়ক ভিআইপি ওয়েটিং রুম, বিশ্রামাগার, সহজ প্রবেশাধিকার ব্যবস্থাসহ স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রেস্টুরেন্ট, আধুনিক স্যানিটেশন ও বন্দর অফিসের ব্যবস্থাপনা রয়েছে। পাশাপাশি টার্মিনাল থেকে নিরাপদে পন্টুন ও লঞ্চে ওঠানামার জন্য রয়েছে শক্তিশালী গ্যাংওয়ে।
এ টার্মিনাল চালু হলে দ্রুত ও সহজে বাজারের ব্যবসায়ীরা মোকাম থেকে লঞ্চযোগে পণ্য পরিবহন করতে পারবে। জনবহুল চরফ্যাশনবাসীর জন্য এ টার্মিনাল অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও ঘাট এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বেচা-কেনা বাড়বে এবং যাত্রীদের ভোগান্তি কমে আসবে।
উদ্বোধনের সময়ে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সদস্য (প্রকৌশল) এ.কে.এ.এম ফজলুল হক, নৌপরিবহন উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী (পুর.) মো. মহিদুল ইসলাম, পরিচালক (নৌনিট্রা) মো. সাইফুল ইসলাম, পরিচালক (নৌসওপ) ক্যাপ্টেন মো. শাহজাহান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. সাজিদুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বরিশাল সার্কেল, পুর) আ. স. ম. মাশরেকুল আরেফিন, নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর.) মো. আমজাদ হোসেনসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।





