ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব আত্মজীবনীমূলক বই কোয়ালিশন ইয়ারস থেকে উদ্ধৃতি করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বুঝতে পেরেছিলেন ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করতে হলে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে দুর্বল করা আবশ্যক। কারণ তাদের মোরাল উচ্চ থাকলে কোনোভাবেই দেশে একটি পুতুল সরকারকে মেনে নেবে না। সুতরাং শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার দুই মাসের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বিডিআর হত্যাকাণ্ড করেছিলো। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা, শেখ পরিবারের সদস্যরা এবং শেখ তাপস সরাসরি জড়িত ছিলেন। ২০০৮ সালের আগে শেখ তাপস বিডিআরের কিছু সদস্যের সঙ্গে আলাপ করে হত্যাকাণ্ডের পরিস্থিতি তৈরি করেন।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি বিদ্বেষ পারিবারিক। এ বিদ্বেষ বাকশাল পতনের সময় থেকেই শুরু হয়েছিলো। পারিবারিক সেনা বিদ্বেষের কারণে শেখ হাসিনা চেয়েছিলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড এবং মোরাল পুরোপুরি ভেঙে যাক। বিডিআর হত্যাকাণ্ড পরবর্তী ১৫ বছরে এটা স্পষ্ট হয় যে সেনাবাহিনীকে নির্মূল করতে শেখ হাসিনা অনেকটাই সফল। সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে আনার পর ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে আনার দিকে মনোনিবেশ করেন।’
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার পেছনে দায় এড়াতে পারে না তৎকালীন প্রশাসন, গণমাধ্যম ও বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানেরা বলেও দাবি করেন চিফ প্রসিকিউটর।
এসময় জুডিশিয়াল কিলিং, স্কাইপ কেলেঙ্কারি, ৩টি প্রহসনমূলক নির্বাচনসহ শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের বিভিন্ন অপকর্মসহ অপশাসনের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন তিনি। একই সাথে জুলাই আন্দোলনকালীন তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের হত্যাযজ্ঞের বিভিন্ন প্রমাণ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়। এসময় গাজীপুরের হৃদয়কে ৫ আগস্ট কিভাবে হত্যা করা হয় সেই প্রামাণ্যচিত্র ট্রাইব্যুনালে পেশ করা হয়।





