ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি গাজা অভিমুখী ঐতিহাসিক নৌযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের অবস্থা ও নিরাপত্তা, বিশেষ করে বিশ্ববিখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহীদুল আলমের।’
তিনি বলেন, ‘শহীদুল এ মিশনে অংশ নিয়েছেন একই সাহস, দৃঢ়তা ও অবিচল মনোবল নিয়ে— যা তিনি দেখিয়েছিলেন ২০১৮ সালে হাসিনা সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে কারাগারে ১০৭ দিন অতিবাহিত করার সময়। আজ তিনি বাংলাদেশের অদম্য চেতনার উজ্জ্বল প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।’
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত মাসে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের আগে আমি ঘোষণা করেছিলাম- মানব কষ্টের প্রতি উদাসীনতা সেই অগ্রগতি ধ্বংস করছে যা মানবজাতি দশকের লড়াইয়ের মাধ্যমে অর্জন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘গাজার চেয়ে এ ট্র্যাজেডি আর কোথাও এত স্পষ্ট নয়। শিশুদের মৃত্যু হচ্ছে অনাহারে। সাধারণ মানুষ নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। পুরো মহল্লা, হাসপাতাল, স্কুল পর্যন্ত মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শহীদুল আলমের পাশে আছি, আমরা গাজার পাশে আছি—এখন এবং চিরকাল।’





