'অভ্যুত্থান মেনে নিতে পারেনি স্বৈরাচার হাসিনার আমলারা'

0

জুলাই-আগষ্টের অভ্যুত্থান মেনে নিতে পারেনি স্বৈরাচার হাসিনার আমলারা। তাই তাদের কারণে আহতরা সঠিক সময়ে চিকিৎসা পাচ্ছে না বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। দাবি পূরণের আশ্বাস ও তার অনুরোধে গভীর রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে থেকে ফিরে যান জুলাই আহতরা। এরআগে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ সাত দফা দাবিতে দিনভর সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা।

দাবি আদায়ে জুলাই আগস্টে রাজপথে নামে ছাত্র-জনতা। তাদের উপর পতিত শেখ হাসিনা সরকার নির্বিচারে গুলি চালালে শহীদ হয় কয়েক শত। আর আহত হয় হাজারের বেশি। সেই আহতরাই এতদিন ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছে সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের।

তাই শনিবার থেকে আবারো রাজপথে নামে জুলাই বিপ্লবে আহতরা। এবার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনসহ সাত দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে তারা। তবে ৪৮ ঘণ্টায় সরকারের পক্ষ থেকে আশানুরূপ কোনো সাড়া না পেয়ে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে ছুটতে শুরু করেন জুলাই আন্দোলনে আহতরা।

এক পর্যায়ে তারা অবস্থান নেয় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে। তাদের ঠেকাতে বাসভবনের সামনে জড়ো হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তার প্রচেষ্টায় শান্ত হয় পরিস্থিতি। আহতদের দাবি শুনে জানান, আওয়ামী লীগের আমলের আমলারা বিপ্লব মেনে নিতে পারেনি। তাই তাদের কারণেই সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'এই সরকার এইটা পারে নাই। তারা কেন পারে নাই। এখানে আমলাতান্ত্রিক যে জটিলতা যে আমলারা আছে তারা তো এই বিপ্লবকে এরা মানেই না। ১৫০ দিনের মধ্যে ১৪০ দিন শুধু একটা সরকারকে আন্দোলনে ব্যস্ত থাকতে হয় সেখানে রাজনৈতিক অসহযোগিতা রয়েছে, আমলাতান্ত্রিক অসহযোগিতা আছে। সবার শুধু চাই চাই। বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল বলছে যে আহতদের পুনবার্সন চাই। বিচার নিয়ে কেউ কথা বলছে। কারণ সুবিধা আছে এখানে। কারণ তাদের ভোট আমার দিকে আসবে। আমি তো আওয়ামী লীগকে কোনো সুবিধা দিবো না। আওয়ামী লীগের ভোট আমার কাছে আসবে না। যে স্পেস দিবে তার ভোট আসবে তার ব্যবসা আসবে। তার এলাকার লোকের সেটাপ আসবে। মামলা থেকে ছাড়িয়ে টাকা নিবে।'

ঘণ্টা দুয়েক সবার কথা শুনে জানান চলতি সপ্তাহেই সব দাবি পূরণে সরকারকে বাধ্য করা হবে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'রাষ্ট্রীয় সম্মাননা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আর্থিক অনুদান বৃদ্ধি। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। তিনটা চারটা বিষয় নিয়ে আমরা এই সপ্তাহের মধ্যে মিটিংয়ে যাবো। আর চারটা বিষয় চলমান প্রক্রিয়া।'

পরে হাসনাতের কথার সাথে একমত হয়ে ফিরে যান আন্দোলনকারীরা। আর দাবি পূরণ না হলে আবারও রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দেন আহতরা।

ইএ