যত্রতত্র জমে রয়েছে স্বচ্ছ পানি। এ নিয়ে শ্রমিকরা বলছেন- মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ তারা। জ্বরে আক্রান্তও হয়েছেন তাদের কেউ কেউ।
সাধারণত শীত এলেই দেশ থেকে বিদায় নেয় ডেঙ্গুর প্রভাব। আক্রান্তের সংখ্যা কমে অনেকটাই। এ বছর অক্টোবর মাস শেষ হতে চললেও ডেঙ্গুর পরিস্থিতি অনুকূলে নেই।
গবেষকেরা বলছেন- আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রভাব থাকতে পারে। তাই নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা।
মাঠ পর্যায়ে এডিস মশার ঘনত্ব নিয়ে কাজ করা গবেষণায় উঠে এসেছে- প্রায় প্রতিটি এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব ২০-এর ওপরে রয়েছে। কোথাও এমনটা দেখা দিলে ধরে নেওয়া হয়, সেই এলাকায় এডিস মশাবাহিত রোগ বিশেষ করে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
অনেকের মতে- গণঅভ্যূথানের পর স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসে স্থবিরতা বাড়ে। যদিও এ নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি- মশা নিধনের মাঠ কর্মীরা কাজেই ছিলেন। প্রশাসনকে আরো তৎপর হওয়ার তাগিদ দিলেন তারা।
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকাভিত্তিক সচেতন সমাজ, ছাত্রদের সম্পৃক্ত করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এমন বাস্তবতায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে শর্টটার্ম পরিকল্পনার কথা বলছেন গবেষকেরা। অধিক প্রজনন স্থানগুলো চিহ্নিত করা জরুরি। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর বাড়ির ঠিকানা শনাক্ত করে, তার চারদিকে ফগিংয়ের মাধ্যমে মশার ঘনত্ব কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সেইসঙ্গে প্রজনন স্থল ও লার্ভা ধ্বংসের জোর তাগিদ তাদের।
