শত-সহস্র দালানকোঠার মধ্যে একটুখানি সবুজের সমারোহ। দূর থেকে দেখে মনে হয়, ইট-কংক্রিটের নগরে এখানকার বাসিন্দাদের এ যেন বাড়তি প্রাপ্তি। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। গাছগাছালি আছে, সঙ্গে আছে ডোবাও। আশেপাশের মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেল, এখানে মশার মহোৎসব। সন্ধ্যার পরে মশারি ছাড়া টিকে থাকা দায়।
স্থানীয় একজন বলেন, 'সন্ধ্যার পর এখানে দাঁড়ানো যায় না। এখান দিয়ে শুধু হেঁটে যাওয়া লাগে। মশা কামড় দিলে সহ্য করা যায় না।'
দক্ষিণ পাইকপাড়ার এই জায়গাটি ঢাকা উত্তর সিটির তিনটি ওয়ার্ডের সীমানায় পড়েছে। তবে দেখভালের দায়িত্ব পালন করে ১১ নং ওয়ার্ড। এলাকাবাসী জানায়, সিটি করপোরেশন ডোবাটি কয়েকবার পরিষ্কার করেছে তবুও কমছে না মশার যন্ত্রণা।
কল্যাণপুর, পাইকপাড়া, মধ্য পাইকপাড়া, দক্ষিণ পাইকপাড়া ও দারুস সালাম রোডের একাংশ নিয়ে উত্তর সিটির ১১ নং ওয়ার্ড। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কল্যাণপুর খালে পানি প্রবাহ ঠিকঠাক থাকলেও খাল পাড়ে ময়লা-আবর্জনা স্তুপ। সেখানে জন্ম নিচ্ছে মশা। এরমধ্যে ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি। এতে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
স্থানীয় একজন বলেন, 'বিভিন্ন খোলামেলা জায়গায় কেউ গিয়ে বসবে তার কোনো ব্যবস্থা নেই। ওষুধগুলো সচেতনভাবে দেওয়া গেলে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।'
খালের আশেপাশে কিউলেক্স মশার উৎপাতের কথা স্বীকার করে তা দমনের প্রতিশ্রুতি দিলেন কাউন্সিলর। আর এডিস দমনে নির্মাণাধীন ভবন কর্তৃপক্ষকে দিলেন কঠোর হুঁশিয়ারি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান বলেন, 'কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করবে আর বাড়ি করার সময়ে এ ব্যাপারে উদাসীন থাকবে এটা আমরা মেনে নেবো না। অবশ্যই এসব ভবনে ম্যাজিস্ট্রেট এসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। এই খাল থাকার কারণেই খালপাড়ের লোকদের একটু ভোগান্তি আছে।'
২২ এপ্রিল থেকে ডেঙ্গু সচেতনতায় ৫৪ ওয়ার্ডে একযোগে কাজ শুরু করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। সঙ্গে সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করা লার্ভিসাইড বিটিআইতে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখার আশাবাদ করপোরেশনের।




