সুপেয় পানির সংকটে কাঁঠালিয়ায় বাড়ছে পানিবাহিত রোগ

শাহনুর শাকিব
ঝালকাঠি
0

সুপেয় পানির সংকট থাকায় বাধ্য হয়ে পুকুর, খাল, ডোবা ও বৃষ্টির পানি পান করছেন প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ।

ঝালকাঠির উপকূলীয় অঞ্চল কাঁঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা, চেচরিরামপুর ও আমুয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের সুপেয় পানির জন্য পুকুর, খাল ও ডোবার পানিই ভরসা। এই তিন ইউনিয়নের বাসিন্দারা রান্না, থালাবাসন ধোয়া, গোসলসহ সব কাজে ব্যবহার করছেন লবণাক্ত ও অনিরাপদ পানি। একই পানি পানও করছেন তারা। বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি হওয়ায় এ উপজেলার তিন ইউনিয়নে নলকূপের পানিই লবণাক্ত।

আশির দশক থেকে এ পর্যন্ত সরকারিভাবে এই এলাকায় পুকুর পাড়ে ১৭২টি পানির ফিল্টার স্থাপন করা হয়। কিন্তু সেই ফিল্টারগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। পটিখালকাটা ইউনিয়নে ২টি লবণাক্ততা দূর করার প্ল্যান্ট থাকলেও তার মধ্যে একটির মেশিন বিকল হওয়ায় বর্তমানে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া এই এলাকায় উপকূলীয় প্রকল্প রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে ২ হাজার ৭শ' টি। তবে এই পদ্ধতিতে ধরে রাখা বৃষ্টির পানি দিয়ে শুধু রান্নার কাজ চালানো যায় মাত্র এক থেকে দু'মাস। এরপর শুষ্ক মৌসুমে দেখা দেয় সুপেয় পানির তীব্র সংকট।

২০১৬ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর একটি ইউনিয়নে পরীক্ষা চালিয়ে আড়াই থেকে ৩ হাজার পিপিএম পর্যন্ত লবণাক্ততা শনাক্ত করে। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ কারণে দুর্গম এলাকায় স্বল্প আয়ের মানুষ বছরের পর বছর ধরেই পুকুর ও ডোবার পানিতে ফিটকিরি অথবা পানি শোধনাগার ট্যাবলেট দিয়ে পান করে আসছে।

সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

চেচরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান, কোন গ্রামেই গভীর নলকূপ বসানো সম্ভব হয় না। এজন্য বর্তমান সরকার রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্ল্যান্ট প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

বিকল্প পদ্ধতিতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে এবং পর্যায়ক্রমে শহর থেকে গ্রামেও পাইপ লাইনে পানি পৌঁছানোর কথা জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

তিনটি ইউনিয়নে স্থায়ী ব্যবস্থায় সুপেয় পানি সরবরাহে পরিকল্পনা নেয়া এবং এর বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এসএস

আরও পড়ুন: