কাঁচাবাজার
বাজার
3

সপ্তাহ ব্যবধানে ইলিশের কেজিতে বেড়েছে ২০০ টাকা

বেড়েই চলছে ইলিশ মাছের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ২০০ টাকা। স্বস্তি নেই বাজারের অন্য মাছের দামেও। বিক্রেতাদের দাবি সরবরাহ কম থাকায় ইলিশের এমন উচ্চমূল্য। তবে কাঁচাবাজারে তুলনামূলক কম দামে পাওয়া সবজি।

দেলোয়ার হোসেন, এসেছিলেন শখের মাছ ইলিশ কিনতে। তবে বাজারে এই মাছের চড়া দামের কারণে সেটা আর হলো কই? ফলে, ক্ষোভ নিয়ে ফিরেছেন খালি ব্যাগে।

মাছ ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, 'মাছ না কিনে চলে আসছি। কিনব কীভাবে দাম বেশি। ১ কেজি ইলিশের দাম আঠারো'শ পঞ্চাশ টাকা।'

তিনটা বাজারে তিন রকম দাম বলেও জানান আরো একজন।

দুই একজন উচ্চমূল্যে ইলিশ কিনলেও দাম নিয়ে অভিযোগের সুর ছিলো তাদের কণ্ঠেও। তবে বিক্রেতাদের দাবি, পর্যাপ্ত সরবরাহ কম থাকায় এমন উচ্চমূল্য ইলিশ মাছের। বাজারে বাকি মাছের দামও আগের তুলনায় বেশি।

আরো একজন বলেন, '৩২০০ টাকায় একটা ইলিশ একটা ফ্যামিলিতে একদিনেই শেষ। তাহলে ১৬০০ টাকা যদি একটা ইলিশ একদিনেই খায় তাহলে ছয় মাসেও আর ইলিশ খাওয়া সম্ভাব নয়।'

বিক্রেতাদের মধ্যে একজন জানান , ফেসবুকে বলে ১২০০ টাকা দাম আর আমরা চাইতেছি ১৬০০ টাকা কারণ ঐগুলো হচ্ছে ভুয়া। আর এইজন্যই ক্রেতাদের সাথে আমাদের তর্কবিতর্ক হয়।

বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিমের দামও। আমদানি কম থাকায় এখনই কমছে না ডিমের দাম। একই অবস্থা মুগির দামেও। ব্রয়লার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা । আর সোনালি মুরগি প্রতি কেজিতে রাখা হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা।

ডিম বিক্রেতাদের মধ্যে একজন জানান, এই বছরে ডিমের চাহিদা একটু বেশি। ফার্মে মাল এইজন্য ডিমের চাহিদা ও দাম বেশি।

বাজারে লাগামহীন নিত্যপণ্যের দামের কারণে হিমশিম অবস্থা ক্রেতাদের। দামে লাগাম টানতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান তাদের।

বাজার মনিটরিং বাড়াতে হবে। সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে বলেও অভিযোগ করেন এক ক্রেতা।

অন্যসব নিত্যপণ্যের তুলনায় কাঁচাবাজারের পণ্যের দাম কিছুইটা কম। এই যেমন টমেটো, পেঁপে, লাউ ও শিমের দাম আগের তুলনায় ১০ থেকে ২০ টাকা কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া আলুর দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। তবে একদিনের ব্যবধানে ৪০ বেড়ে ২০০ টাকা কেজি হয়েছে কাঁচা মরিচের।

এদিকে শুক্রবার হলেও ছুটিরদিন হিসেবে ক্রেতার ভিড় কিছুটা কম ছিলো বাজারে।

এফশি

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর