দেশে এখন , কাঁচাবাজার
বাজার
0

চলমান পরিস্থিতিতে খাতুনগঞ্জ বাজারে নষ্ট হচ্ছে কাঁচাপণ্য

চট্টগ্রাম

এখনও জমেনি দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ। প্রতিটি আড়তে পণ্যের স্তূপ। কিছু কাঁচাপণ্যে ধরেছে পচন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলমান পরিস্থিতির খেটে খাওয়া মানুষের আয় রোজগার কমার প্রভাব পড়েছে বাজারে। এদিকে ব্যাংকিং লেনদেন এখনও স্বাভাবিক না হওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

ক্রেতা না থাকায় আড়তে আড়তে পচন ধরছে কাঁচাপণ্যে। বিশেষ করে পেঁয়াজের মতো পণ্যের মান নামতে শুরু করেছে। ফলে দাম পাচ্ছেন না আড়তদাররা। এ বাজারে এখন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। যা গেল সপ্তাহের তুলনায় ৫ থেকে ৭ টাকা কম। ব্যবসায়ীরা বলছেন ভারত বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। এছাড়া, পণ্য পরিবহনেও বাড়তি ভাড়া গুণতে হয়েছে। তবে এখন সে অনুযায়ী দাম পাওয়া যাচ্ছে না।

পাইকারি ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘বেশি দামে কিনে এখন কম দামে পণ্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। ক্রেতা তেমন নেই বললেই চলে।’

আরেকজন বলেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী গাড়ি চলছে না। কাস্টমার আসতে পারছে না যার ফলে বিক্রি কম।’

একই অবস্থা আদার বাজারেও। খাতুনগঞ্জের বাজারে আদা আসে মূলত চীন থেকে। এই আদার চাহিদাই বেশি। বর্তমানে চায়না আদা ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও কেরালা এবং ভিয়েতনাম থেকেও খুবই অল্প পরিমাণে আসছে আদা। গেল এক সপ্তাহ ধরে দাম স্থিতিশীল আছে বলছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে স্বাভাবিক আছে। ইন্টারনেট চালু হওয়ায় এলসি খোলা যাচ্ছে।’

বৈরি পরিবেশ কাটিয়ে বাজার স্বাভাবিক হওয়ার আগেই বাড়তে শুরু করেছে মসলার ঝাঁজ। বেশ কিছু মসলার দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাচের বাজারে। পণ্যটির দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছ। কিছুদিন আগেও ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হওয়া এলাচ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২৫০ টাকায়। এছাড়াও কালো জিরার দাম ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকায়, কালো গোল মরিচ ৫০ টাকা বেড়ে মিলেছ ৯৫০ টাকায়। জিরা ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। তবে, স্থিতিশীল হলুদ, মরিচের দাম।

খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহসান উল্লাহ জাহেদী বলেন, ‘পণ্যে আমদানি করা যাচ্ছে না যার ফলে আমাদের এখানে পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এই ১০ থেকে ১৫ দিনে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

তবে এখনও ব্যাংকিংসেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়ায় স্বাভাবিক লেনদেন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন আড়তদাররা। তারা বলছেন একেকটি আড়তে দৈনিক ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার বেচাকেনা হয় স্বাভাবিক সময়ে। দৈনিক এ টাকা জমা এবং ঋণ নিতে হয় ব্যাংকের দারস্থ হতে হয়। ব্যাংক পুরোদমে না খোলায় এ নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বেচাকেনা না থাকায় অনেকটা অলস সময় পারছেন খাতুনগঞ্জের শ্রমিকরাও।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর