রোজার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তাই জমে উঠেছে বাজার। তবে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় বাজারে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নাচনাপাড়া পাইকারি মডেল মাছবাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে এ বাজারে প্রকারভেদে কেজিতে ৩০-৫০ টাকা বেড়েছে মাছের দাম।
তবে সরবরাহ বাড়লে রোজায় দাম কমতে পারে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা।
তিনি বলেন, 'সামনে পূর্ণিমায় আমাদের জেলেরা যথেষ্ট পরিমাণে মাছ সমুদ্র থেকে ধরে নিয়ে আসবে। এ মাছটা আলীপুর-মহীপুর বন্দরে চলে আসলে মাছের সরবরাহ অনেকটা বাড়বে এবং মাছের দামও সাধ্যের ভেতর চলে আসবে।'
মাছের বাজারে যখন উত্তাপ তখন কিছুটা স্বস্তি সবজির বাজারে। তবে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় মিলছে কাঁচা মরিচ। এছাড়া ৫ টাকা কমে বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। প্রতি কেজি ২৮ টাকায় মিলছে টমেটো ও লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।
তবে ভিন্ন চিত্র নিত্যপণ্যের বাজারে। তেলের দাম কিছুটা কমলেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খেজুর, মুগডাল, খেসারী, ছোলা ও চিনির দাম। আর আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বেসন, মুড়ি ও চিড়া।
এদিকে বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে মাংসের দাম। গাজীপুর ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ বাজারে বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ব্রয়লার ২০ টাকা, সোনালি ৩০ এবং লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে ২০ টাকা। একই সঙ্গে কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে দেশি মুরগি মিলছে ৬০০ টাকায়। এ ছাড়া গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংসের জন্য গুনতে হচ্ছে ১১০০ টাকা।
ক্রেতারা বলছেন, রোজার আগে সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হচ্ছে এসব পণ্যের দাম। তিনি বলেন, 'বাজার করতে এসে যে টাকা নিয়ে আসছি তার সব শেষ। এখন ধার করার পালা। দাম কেন বাড়ছে তা আমরা বুঝতে পারছি না।'
তবে বিক্রেতাদের দাবি খামার ও পাইকারিতে মুরগির দাম বাড়ায়, তারাও বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। একজন বিক্রেতা বলেন, 'রমজান উপলক্ষে সবধরনের জিনিসের দাম বাড়তি। প্রতিদিন কেজিতে ১০-১৫ টাকা করে বাড়তেছে।'
শুল্ক কমানোর পরও পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে না থাকায় ক্ষুব্ধ ভোক্তারা। তাদের দাবি, রোজার আগে বাজার তদারকি বাড়ানো উচিত।