ঈদ মানেই যেন সাধ্যের মধ্যে নিজেকে সর্বোচ্চ সাজিয়ে তোলার চেষ্টা।
এবার ঈদ ঘিরে মেয়েদের পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তানি ত্রি-পিস। সেলাই কিংবা সেলাই ছাড়া দুই ধরনের পোশাকেই আগ্রহের তালিকায় আগানূর, রাওয়াত, তায়াক্কালসহ বিভিন্ন পাকিস্তানি ব্র্যান্ড।
ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এবার খুবই সুন্দর কালেকশন এসেছে। এজন্য এবার বেশিরভাগ মেয়েরাই পাকিস্তানি পোশাক পছন্দ করছে।’
আরেকজন বলেন, ‘এবার পাকিস্তানি পোশাকগুলো নিয়ে একটু বেশিই মাতামাতি হচ্ছে।’
বরাবরই বাজারে ভারতীয় পোশাকের আধিপত্য থাকলেও এবার ভিসা জটিলতায় প্রতিবেশী দেশ থেকে পোশাকের আমদানি কমেছে। অন্যদিকে ব্যবসায়িক যোগাযোগ সহজ হওয়া আর পাকিস্তানি সিরিয়ালে আসক্ত হয়ে পড়ায় ট্রেন্ড দখল করেছে পাকিস্তানি পোশাক।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘পাকিস্তানি ড্রামাগুলো দেখা হয়, সেই সূত্রেই পাকিস্তানি পোশাকগুলো ভালো লাগে।’
যদিও এখনো সরাসরি দেশটি থেকে পোশাক আনতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। দুবাই হয়ে আনতে হয় পণ্য। তবে, ভারত থেকে পণ্য আসা কমে যাওয়ায় বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি।
বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন কারণে ভারতে যেতে পারিনি, সেজন্য ভারতের পোশাকগুলো এবার আনা সম্ভব হয়নি।’
গত বছর থেকে এই বছর দুই দেশ থেকেই পোশাক আমদানি কম হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য মতে, গত তিন মাসে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১৩ লাখ ২৯ হাজার পিস পোশাক আর পাকিস্তান থেকে ৯ লাখ পিস। বৈধ পথে আমদানি ভারতের বেশি থাকলেও লাগেজ পার্টির মাধ্যমে বেশি আসছে পাকিস্তানি পোশাক।
বিদেশি পোশাকের সাথে অনেকটা পাল্লা দিয়ে চাহিদা পূরণ করছে দেশীয় পোশাক। তবে প্রতিযোগিতা আর ট্রেন্ডিং এর এই বাজারে প্রথম হতে হলে দরকার ব্যবহারকারীদেরই রুচির পরিবর্তন।
সাসটেইনেবল ফ্যাশন ডিজাইনার আফসানা ফেরদৌসী বলেন, ‘আমরা তো এখন একরকম গ্লোবাল ট্রেন্ডের মধ্যে আছি, এই কারণে আমরা যেকোনো জায়গা থেকে পোশাক নিতে পারি। বিভিন্ন ধরনের সোশাল মিডিয়া প্লাটফর্মও আমাদের দেশের মেয়েদের অনুপ্রাণিত করে এই পোশাকগুলো কেনার জন্য।'
তিনি বলেন, 'মেয়েরা বিভিন্ন তারকাদের অনুসরণ করে থাকে এবং নিজেদেরকে সুন্দর দেখানোর চেষ্টা করে। তবে এটা দুঃখজনক যে আমাদের নিজেদের সংস্কৃতি থেকেও বেশি বাইরের দেশের সংস্কৃতি তাদেরকে অনুপ্রাণিত করে।’
গত রমজান থেকে এই রমজানের প্রথম ২০ রোজার ব্যবসা আশাব্যাঞ্জক হয়নি বলে জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীরা।