অনেক ব্যবসায়ী এখনই খেজুর মজুত করে রাখছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রমজানে ফলের দাম না বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান তার।
আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন ভোক্তার মহাপরিচালক। এসময় রমজান মাসে ফলের দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট না করার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে বলেন, 'খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে পাকা ভাউচার রাখতে হবে। অন্যথায় গুনতে হবে জরিমানা।'
সারাবছর দেশে খেজুরের চাহিদা আছে ২০ হাজার টন আর শুধু রমজানে খেজুরের চাহিদা থাকে ৬০ হাজার টন। এই সুযোগে খেজুর আগেভাগেই মজুত করে অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ ভোক্তা অধিদপ্তরের। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর ব্যবস্থার কথাও জানান সফিকুজ্জামান।
তবে বৈঠকে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি সৌদি ও মিশরের খেজুর আমদানির খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে। সরকার ফল আমদানির ওপর শুল্ক বাড়ানোর কারণে খরচ বেড়েছে। একইসঙ্গে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতি মাসে বাড়ছে ফলের দাম। এলসি খোলার সংকট থাকলে দেশে পর্যাপ্ত ফল আমদানি হচ্ছে বলেও দাবি ব্যবসায়ীদের।
রমজানকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি ফল আমদানি করে থাকেন। এ কারণে ফলের বাজার যেনো অস্থির না হয়ে উঠে। অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম বাড়াতে না পারে সেই লক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরামর্শমূলক সভার আয়োজন করে।