ঢাকার গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত যে বাড়িটি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা আবদুস সালাম মুর্শেদী দখলে রেখেছেন সেটিকে ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তি’ বলে উল্লেখ করে ১ বছরেরও বেশি সময় পরে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করলেন হাইকোর্ট। এর আগে এই সম্পত্তি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছর এ রায় দেন হাইকোর্ট। ওই সম্পত্তির অবস্থান বুঝে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিবকে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে হলফনামা আকারে আদালতে প্রতিবেদন (অ্যাফিডেভিট ইন কমপ্লায়েন্স) দিতেও বলা হয়েছে। ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ির দখল নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দখল প্রতিবেদন ১৫ দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। বেসরকারি ব্যক্তিদের কাছে ইজারা না দিয়ে জনস্বার্থে সংরক্ষণ করতে বলেছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:
রাজধানীর গুলশান-২-এ অবস্থিত পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে বাড়িসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। বাড়িটি বেআইনিভাবে দখলে রাখার অভিযোগে আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর রাজউক নথি দাখিল করে। পরে বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেয়া হয়।
আদালতের নির্দেশনার আলোকে ওই বাড়ি নিয়ে দুদক হলফনামা আকারে তথ্যাদি দাখিল করে। এ মামলার বাদী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনও হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গিয়েছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী। পরে যা স্থগিত করা হয়। তবে এখন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর এটি আপিল বিভাগে শুনানি হয় কি না তাই দেখার বিষয়।





