ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী প্রসাদেব চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসাদেব চাকমা বলেন, ‘একই মামলায় দুই নম্বর আসামি সুমন চাকমাকেও আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর তিন নম্বর আসামি প্রদীপ চাকমাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন না।’
সাধারণত চাঞ্চল্যকর মামলার রায়ের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীরা তথ্য জানতে পারলেও মাইকেল চাকমার দণ্ডাদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানাতে আগ্রহ দেখায়নি সংশ্লিষ্টরা। এতে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পেতে বিড়ম্বনায় পড়েন সাংবাদিকরা। তবে মামলার রায়ের বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে চাননি আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট প্রতীম রায় পাম্পু।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি করার সময় নিরাপত্তা বাহিনী অস্ত্র ও টাকাসহ ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমা ও তার সহযোগী সুমন চাকমাকে আটক করে। পরে তাদের রাঙামাটির লংগদু থানায় হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় লংগদু থানায় চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়।
আরও পড়ুন:
এর মধ্যে অস্ত্র আইন মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত মাইকেল চাকমাকে অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
এছাড়া হত্যার হুমকি, চাঁদাবাজি করায় সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। উভয় ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে আদালত রায় দেন। তবে দণ্ডিত আসামি মাইকেল চাকমা সেসময় গুম থাকায় তার বিরুদ্ধে রায় কার্যকর করা যায়নি।
এছাড়া চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অপরাধে মামলার দ্বিতীয় আসামি সুমন চাকমাকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। একই ঘটনায় দায়ের হওয়া অপর চাঁদাবাজির মামলায় মাইকেল চাকমাকে আজ আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিলেন আদালত।





