পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ এখন টিভিকে জানায়, ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর বুধবার ফতুল্লার কাঠেরপুল কুতুবআইল এলাকায় আনিসুর রহমানের টিনশেড বাড়িতে গৃহবধূ সুমা আক্তারকে (৩০) নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়।
ঘটনার পর ফতুল্লা থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এঘটনায় নিহতের মা মোছা. সাজেদা খাতুন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ফতুল্লা থানায় মামলা (নং-১৬, তাং-০৮/১১/২০২৩) ।
আরও পড়ুন:
প্রথমে সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের ছোট বোন সোহানা আক্তারকে (২৮) গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। তবে মামলাটি ২০২৪ সালের আগস্টে পিবিআইতে হস্তান্তর হলে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে জামিনে থাকা সোহানা আক্তারের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। পরে আদালতের আদেশে গত ২৪ সেপ্টেম্বর সোহানা আক্তার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তার জবানবন্দির ভিত্তিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ফতুল্লা এলাকা থেকে নিহতের স্বামী শহীদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদে শহীদুল্লাহ স্বীকার করেন, শ্যালিকার সাথে পরকীয়ার জেরে তিনি পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ধারালো বঁটি দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেন।
পরদিন দুপুরে শহীদুল্লাহকে আদালতে প্রেরণ করলে তিনি স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।





