পুঁজিবাজারে অস্থিরতা, রাজনৈতিক সংকট ও লাগামহীন মূল্যস্ফীতিতে জর্জরিত বিশ্ব। জনগণের পকেটে টান পড়লেও শীর্ষ ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিপরীতধর্মী চিত্র।
ব্লুমবার্গের তথ্য বলছে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে শত কোটি ডলারের বেশি মালিকানা রয়েছে ২ হাজার ৭৮১ জনের। ২৩ হাজার ৭শ কোটি ডলার নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ইলন মাস্ক।
এবার বিলিওনেয়ারের তকমা সরিয়ে বিশ্বের প্রথম ট্রিলিওনেয়ারের খেতাব অর্জন করতে যাচ্ছেন টেসলার সিইও। ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান ইনফর্মার বরাতে এমনই তথ্য ছেপেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।
ইনফর্মার দাবি, প্রতিবছর ১১০ শতাংশ বাড়ছে টেসলার সিইওর সম্পদ। এভাবে চললে ২০২৭ সাল নাগাদ ইলন মাস্কের সম্পদ ছাড়িয়ে যাবে ১ লাখ কোটি ডলার।
ট্রিলিওনেয়ার হবার ক্ষেত্রে মাস্ককে নির্ভর করতে হবে টেসলার ওপর। অটোমোবাইল জগতে টেসলাই বিশ্বের সবচেয়ে দাবি প্রতিষ্ঠান। ৭১ হাজার কোটি ডলারের টেসলার ১৩ শতাংশ মালিকানা ইলন মাস্কের হাতে।
ওয়েববুশ সিকিউরিটিজের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ড্যান আইভেজের ধারণা, রোবোট্যাক্সিসহ টেসলার ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলো সফলতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইলন মাস্কের ভবিষ্যৎ।
টেসলা ছাড়াও মহাকাশযান নির্মাতা স্পেস এক্স, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স, টানেল প্রস্তুতকারী দ্য বোরিং কোম্পানি, এআই স্টার্ট আপ- এক্স এআই ও মস্তিস্কে চিপ স্থাপনকারী স্টার্ট-আপ নিউরালিঙ্কের মালিকানা রয়েছে ৫৩ বছর বয়সী মার্কিন ধনকুবেরের।
শুধু ইলন মাস্কই নয় ট্রিলিওনেয়ার হবার দৌড়ে রয়েছেন আরো ২৮ ধনকুবের। তবে মাত্র ৪ বছরের মধ্যে এই তালিকায় ঢুকতে পারেন এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াং, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি ও বারিতো প্যাসিফিক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রায়োগো পাঙ্গেসতু।