যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো থ্যাংকসগিভিংয়ের আয়োজন; শুরু হয়েছে বড়দিনের অনানুষ্ঠানিকতা

যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকসগিভিং ডে
যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকসগিভিং ডে | ছবি: আল জাজিরা
1

লাখ লাখ মানুষের সমাগম আর আনন্দ মিছিলের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো থ্যাংকসগিভিংয়ের আয়োজন। স্যান্টা ক্লজের আবির্ভাবে শেষ হয় মেসিজ থ্যাংকসগিভিং ডে প্যারেড। এর মধ্য দিয়েই মার্কিন ভূখণ্ডে শুরু হয় খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব বড়দিনের অনানুষ্ঠানিক আয়োজন।

বেশ ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা দিনে নিউইয়র্কের ম্যানহাটন স্ট্রিটে সারি বেঁধে লাখো মানুষ, মত্ত থ্যাংকসগিভিংয়ের বর্ণিল আনন্দমিছিলে। নানা আদলে রঙ-বেরঙের দৈত্যাকার বেলুন, পুতুল, জনপ্রিয় শিল্পীদের নাচ-গান, উদ্দাম বাজনার তালে তালে কুচকাওয়াজ. কী নেই আয়োজনে!

স্থানীয় সময় গতকাল (বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর) সকালে ম্যানহাটনের আপার ওয়েস্ট সাইড থেকে শুরু হয়ে চার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে থার্টি-ফোর্থ স্ট্রিটে আইকনিক মেসি'জ হেরাল্ড স্কয়ারে শেষ হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ছুটির মৌসুমে অন্যতম জনপ্রিয় এ আয়োজন।

৬০ ফুট উঁচু মিনি মাউসসহ ৩৪টি বিশাল হিলিয়াম বেলুন, ১৬ ফুট উঁচু লাবুবু পুতুলসহ ২৮টি ভাস্কর্য, ভাঁড়ের সাজে ৩৩ জন আর ১১টি ব্যান্ড নিয়ে প্রায় চার ঘণ্টার আনন্দমিছিল সফলভাবে শেষ হয় পাঁচ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবকের অক্লান্ত পরিশ্রমে।

আরও পড়ুন:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিন বছরের বিরতি বাদ দিলে ১৯২৪ সাল থেকে থ্যাংকসগিভিংয়ে নিয়মিত আয়োজিত হয়ে আসছে মেসিজ থ্যাংকসগিভিং ডে প্যারেড। আয়োজন শেষ হয় স্যান্টা ক্লজের আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে, আর এর মধ্য দিয়েই শুরু হয় খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব বড়দিনের অনানুষ্ঠানিক আয়োজন। নভেম্বরের চতুর্থ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে এ উৎসবে থাকে সরকারি ছুটি।

ফসল কাটার মৌসুমকে আশীর্বাদ বিবেচনায় ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের দিন হিসেবে শুরু থ্যাংকসগিভিংয়ের প্রচলন। কালের বিবর্তনে থ্যাংকসগিভিংয়ের ইতিহাসে যুক্ত হয় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বর্তমানে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষ পরিবারের সাথে যোগ দেন উৎসব উদযাপনে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) কর্মদিবস শেষেই ছুটি উদযাপনে বাড়ি ফেরত মানুষের ভিড়ে দীর্ঘ যানজট দেখা যায় লস অ্যাঞ্জেলেসসহ যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরগুলোতে। থ্যাংকসগিভিংয়ের আগের দিনটি যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য বছরের ব্যস্ততম সময়ের একটি, যার ছাপ স্পষ্ট ছিল বিমানবন্দরেও।

এসএস