তার নির্বাচনি প্রচারণাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণকায় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। এখন কথা হচ্ছে, জোহরান মামদানি কি হোয়াইট হাউজের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন? মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করতে পারবেন?
এ প্রশ্নের উত্তরে হতাশ হতে হবে জোহরান মামদানির ভক্ত-সমর্থকদের। কারণ লড়তে পারবেন না এ মেয়র। কিন্তু কেনো? বাধা কোথায়?
বাধাটা যুক্তরাষ্ট্রের আইনে। মার্কিন মুলুকের রাষ্ট্রপতি বা প্রেসিডেন্ট অথবা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করতে হলে জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক হওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। এক্ষেত্রে মামদানি মার্কিন নাগরিক হলেও তার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে নয়। তার জন্ম আফ্রিকার দেশ উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায়, ১৯৯১ সালে।
তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে- কীভাবে নিউ ইয়র্কের মেয়র পদে নির্বাচন করলেন মামদানি? উত্তরটা হলো- নিউ ইয়র্কের মেয়র পদে লড়াই করতে একজন প্রার্থীকে ১৮ বছর হতে হয়। এছাড়াও মার্কিন নাগরিকত্ব এবং সংশ্লিষ্ট শহর অর্থাৎ নিউ ইয়র্ক সিটিতে নিবন্ধিত ভোটার হতে হবে। তার পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটারের স্বাক্ষর লাগে। এ সকল শর্ত পূরণ করায় মামদানির জন্য মেয়র পদে নির্বাচন করতে কোনো বাধা হয়নি।
৭ বছর বয়সে বাবা-মায়ের হাত ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন জোহরান মামদানি। তার বাবা-মা দুইজনই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তার বাবা মাহমুদ মামদানি ভারতীয় গুজরাটি মুসলিম ও মা মিরা নায়ার একজন পাঞ্জাবি হিন্দু। মামদানির জন্মের সময় তার মা-বাবা, কেউ মার্কিন নাগরিক ছিলেন না। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান।





