প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, অভিবাসনসহ নানা নীতির পরিবর্তনে স্বস্তিতে নেই যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা। ট্রাম্পের একের পর এক মহাপরিকল্পনায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে। শাটডাউনের কবল থেকেই উঠতে পারছে না। অথচ মিলিয়ন ডলার খরচ করে হোয়াইট হাউজকে সাজাচ্ছেন নিজের পছন্দমতো।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই মার্কিন প্রেসিডেন্টদের নির্ধারিত বাসভবন হোয়াইট হাউজে রীতিমতো ভাঙচুর চালাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার লিংকন বেডরুমে সংযুক্ত বাথরুমের নতুন রূপ উন্মোচন করলেন তিনি। তার দাবি আগের ডিজাইনটা লিংকনের সঙ্গে মানানশীল নয়।
গেল সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন বাথরুমের ছবিও শেয়ার করেছেন ট্রাম্প। সবুজ টাইলসে বদলে সংযুক্ত করা হয়েছে সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন টাইলস। এটিকে আব্রাহাম লিংকনের সময়কালের জন্য উপযুক্ত বলছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস বলছে সংস্কারটি ব্যক্তিগতভাবে অর্থায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
বাথরুমটি আব্রাহাম লিংকনের অফিস ও কেবিনেট কক্ষের অংশ। ১৯৪০-এর দশকে এটি সংস্কার করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান। অফিস ও বেডরুমের ওয়ালপেপার ছিল সবুজ রঙের। এখন সাদা-কালো টাইলসের মধ্যে শোভা পাচ্ছে সোনালি রঙের বাথরুমের সিঙ্ক, বাথটাবের কল ও শাওয়ার। সংযুক্ত হয়েছে একটি ঝাড়বাতিও।
এর আগে হোয়াইট হাউজের পূর্ব দিক ভেঙে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন বলরুম। যেখানে ব্যয় হচ্ছে ৩০ কোটি ডলার। যদিও এই খরচ বহন করছেন ট্রাম্প ও তার বন্ধু। এছাড়াও, গেল আগস্টে হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনের ঘাসের লন ঢেকে দেয়া হয়েছে পাথরে। ওভাল অফিসের ছবিতে লাগানো হয়েছে স্বর্ণের পাত।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অভিযোগ করেন, দেশের অর্থনীতির চেয়ে বাথরুম নিয়ে বেশি চিন্তিত। হোয়াইট হাউজের সংস্কার নিয়েই তিনি ব্যস্ত।
বারাক ওবামা বলেন, ‘একদিকে সরকারের অচলাবস্থা চলছে। কংগ্রেস রিপাবলিকানদের আধিপত্য থাকার পরও সমস্যা সমাধান করতে পারছে না। অধিবেশনে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। আর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, রোজ গার্ডেনে লনের ঘাস পরিবর্তন করে পাথর বসানো হয়েছে। ওভাল অফিসকে দেয়া হয়েছে স্বর্ণের প্রলেপ, ৩০ কোটি ডলারে তৈরি করা হচ্ছে বলরুম। তিনি এসব নিয়েই ব্যস্ত আছেন।’
এমন কর্মকাণ্ডের জন্য বিভিন্ন সংরক্ষণ সংস্থা ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। তাদের মতে, এসব পরিবর্তন হোয়াইট হাউজের ঐতিহ্যকে নষ্ট করছে।





