দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির কেন্দ্রে ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো। বুথ ফেরত জরিপেও দেখা গেছে, ২০২৪ এর নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিসের পরাজয়ের বড় কারণ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থতা। সোজা কথায় নিত্যপণ্য কিনতে নাকাল ভোটাররা নীল শিবিরের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন বলেই ট্রাম্পের জয় সহজ হয়।
প্রায় এক বছর হতে চললো ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নিয়েছেন। কতখানি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি। সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
কাগজে-কলমে ট্রাম্প ক্ষমতায় বসেন ২০ জানুয়ারি। ২০২৪- এর সেপ্টেম্বর থেকে চলতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে গ্রোসারি পণ্যের দাম বেড়েছে ২.৭ শতাংশ। যদিও এ ১২ মাসের প্রথম চার মাস প্রেসিডেন্টের দ্বায়িত্ব ছিল বাইডেনের। আর পরবর্তী আট মাসের দায় ট্রাম্পের।
চলতি বছরের এপ্রিলে গ্রোসারি পণ্যে রেকর্ড মূল্যহ্রাসের ঘটনা ছাড়া, প্রতিমাসেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। যুক্তরাষ্ট্রের এক তৃতীয়াংশ কফি আসে ব্রাজিল থেকে। আর ব্রাজিলের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু সেক্ষেত্রে অন্যান্য পণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতির কারণ কী?
আরও পড়ুন:
তবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বাইডেন প্রশাসনের তুলনায় কমেছে মাখন ও উদ্ভিজ্জ তেল, আইসক্রিম ও হিমায়িত সবজির দাম।
১২-১৮ মাসে বিদ্যুতের দাম অর্ধেকে নামিয়ে আনবেন- ২০২৪ এর আগস্টে নির্বাচনী প্রচারে এই কথাই বলেছিলেন ট্রাম্প। দেখা যাচ্ছে, ২০২৫ এর জানুয়ারি তুলনায় আগস্টে আবাসিক এলাকায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য খরচ করতে হয়েছে অতিরিক্ত ১.৭ সেন্ট।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় গেলে ২ ডলারের কমে মিলবে প্রতি গ্যালন গ্যাসোলিন- এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি গ্যালন গ্যাসোলিনের বাজার মূল্য ছিল ৩.১২৫ ডলার। বর্তমানে মার্কিন মুলুকে গ্যালন প্রতি গ্যাসোলিনের দর ৩.০৭৯ ডলার।
হোয়াইট হাউজের দাবি, গ্যাসোলিনের জাতীয় গড় মূল্য এখন ২.৯৭ ডলার। যদিও তা ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির ধারেকাছে নেই।
২০২৫ এর জানুয়ারির পরিসংখ্যানকে টেক্কা দিয়ে সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন গাড়ির দাম বেড়েছে গড়ে প্রায় ৫০ হাজার ডলার। ১ বছরের নতুন গাড়ির দাম ২-৩ শতাংশ বাড়তে পারে। কিন্তু ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে এই হার ৪ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে অভিযোগ বাজার বিশ্লেষকদের।





