উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

বিশ্বনেতাদের পরিকল্পনা বদলে দিয়েছেন ট্রাম্প, বজায় রেখেছেন আধিপত্য

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নিজের ঝলক দেখিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজা থেকে ইউক্রেন এবং কানাডা থেকে ইউরোপ সব জায়গায় নিজের আধিপত্য বজায় রেখেছেন তিনি। এরইমধ্যে বিশ্বনেতাদের পরিকল্পনাও পাল্টে দিয়েছেন একাই। আগামী ৪ বছরে বিশ্বকে কতটুকু বদলে দেবেন ট্রাম্প সেটি দেখার অপেক্ষায় বিশ্ববাসী।

৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার প্রত্যাবর্তনও ঘটেছে দাপটের সঙ্গে। দ্বিতীয় মেয়াদে এসে এরইমধ্যে প্রভাব বিস্তার করেছেন বিশ্বব্যাপী। গাজা-ইসরাইল থেকে শুরু করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চীন, কানাডা, মেক্সিকো এমনকি গোটা ইউরোপ, নিজের আধিপত্যের জানান দিয়েছেন সবখানেই। বদলে দিয়েছেন বিশ্বনেতাদের হিসাব-নিকাশ।

শপথ গ্রহণের আগেই মধ্যপ্রাচ্য সংকট সমাধানে কড়া হুঁশিয়ারি জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারির আগেই কার্যকর হলো হামাস-ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি।

গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে নানা কৌশলে বাইডেন প্রশাসনকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে ট্রাম্পের বেলায় তা আর ঘটেনি। যা ইঙ্গিত দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে ট্রাম্পের প্রভাব সফলতার মুখ দেখেছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কতদিন চলবে তা এখনো অজানা। দুই পক্ষের মধ্যে অস্ত্রবিরতিরও কোনো লক্ষণ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় যুদ্ধের ময়দানে নিজেকে টিকিয়ে রেখেছে ইউক্রেন। এবার হোয়াইট হাউজের নতুন শাসকের দিকে তাকিয়ে আছে দেশটি।

ট্রাম্প প্রশাসন নিয়ে ইউরোপীয়দের মধ্যেও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। নতুন আশা ও ভয় দুটোই কাজ করছে তাদের মধ্যে। এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কণ্ঠেও যুক্তরাষ্ট্র বা ট্রাম্পকে নিয়ে নমনীয়তা দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে পুতিন বলেন, ইউক্রেন ও পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘নির্বাচনের আগ মুহূর্তটি ট্রাম্পের জন্য সব দিক থেকেই কঠিন ছিল। তিনি এবং তার পরিবার ক্রমাগত তীব্র চাপের মধ্যে ছিলেন। তিনি সব সমস্যা মোকাবিলা করে দৃঢ়ভাবে ক্ষমতায় এসেছেন। ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করবেন। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রতিরোধে সম্ভাব্য সবকিছু করেছেন ট্রাম্প।’

প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের মাধ্যমে মার্কিন ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার এমন ঘোষণায় কানাডার রাজনীতিতে পালাবদল হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে নড়েচড়ে বসেছে ব্রিটিশ সরকারও। এরইমধ্যে সম্ভাব্য করণীয় নিয়ে একের পর এক বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

এদিকে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনও কিছুটা শঙ্কায় পড়েছে। ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের চীনা পণ্যে ট্রাম্পের শুল্কারোপের হুমকিতে ঝুঁকিতে রয়েছে দেশটির অর্থনীতি। কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যা বাধার মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

এএইচ