যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার বাণিজ্য দ্বন্দ্বে উদ্বেগ বাড়ছে

যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার বাণিজ্য দ্বন্দ্বে উদ্বেগ বাড়ছে
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার বাণিজ্য দ্বন্দ্বে উদ্বেগ বাড়ছে |
0

ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় না বসতেই যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার বাণিজ্য দ্বন্দ্বে উদ্বিগ্ন কানাডিয়ানরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে দুই মাসের জন্য 'ট্যাক্স মুক্ত' কেনাকাটার সুযোগ দিয়েছে লিবারেল সরকার। এতে বড়দিন ও নতুন বছরের এই উৎসব মৌসুমে জনগণের অন্তত ১২০ কোটি ডলারের বেশি সাশ্রয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আমদানি-রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা, কানাডাকে অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব, জাস্টিন ট্রুডোকে গভর্নর বলাসহ নানা মন্তব্য এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে। এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প দায়িত্ব না নিতেই শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা বাণিজ্য দ্বন্দ্ব।

এরই মধ্যে সীমান্তবর্তী মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে অটোয়া। দুই প্রতিবেশী দেশের এমন আচরণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন কানাডীয়রা। কারণ নানা পণ্যে ওয়াশিংটনের ওপর নির্ভরশীল অটোয়া।

এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ সামনে রেখে ট্যাক্স ছাড়াই পণ্য বিক্রির কর্মসূচি চালু করেছে কানাডা সরকার। অর্থাৎ জনগণকে দুই মাস দিতে হবে না ফেডারেল ট্যাক্স।

এতে কমে আসবে মূল্য সংযোজন করের পরিমাণ।

এক বাংলাদেশি বলেন, ‘বিষয়টিকে সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর কৌশল বলা হলেও, এতো স্বল্প সময়ের ঘোষণায় এই কর্মসূচি চালু করা ঠিক হয়নি বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ অল্প সময়ের মধ্যে কোন কোন পণ্য করের আওতামুক্ত, তা বের করে দাম নির্ধারণ করাও কঠিন।’

আরেক জন বলেন, ‘এটা মৌসুমের ব্যস্ত সময়। সময়টা বেছে নেয়ায় ভুল হয়েছে। আমি সত্যি সমর্থন করি, কিন্তু আমাদের মতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের জন্য বাড়তি কাজ করতে হচ্ছে।’

এখন থেকে আইন করে প্রতিবছরই ট্যাক্স ছাড়া জনগণকে পণ্য ক্রয়ের সুবিধা দেয়ার পরিকল্পনা করছে ট্রুডো প্রশাসন। তবে যেসব জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, তা কমানোই আপাতত বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এএইচ