স্যুইং স্টেট অ্যারিজোনা আর মিশিগানে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ২৬টি। পহেলা নভেম্বর অ্যারিজোনার আগাম ভোটের সাধারণ পর্ব শেষ হলেও মিশিগানে আগাম ভোট চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এরইমধ্যে মিশিগানে আগাম ভোটে অংশ নিয়েছেন প্রায় ২৫ লাখ ৮০ হাজার ভোটার যা মোট নিবন্ধিত ভোটারের ৩৫ শতাংশেরও বেশি।
সম্প্রতি মিশিগান ও অ্যারিজোনার নারী ভোটারদের নিয়ে জরিপ করেছে হার্ভার্ড ইনস্টিটিউট অব পলিটিক্স ও ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি। সেখানে বলা হচ্ছে, ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সি নারী ভোটারদের মধ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় কামালা হ্যারিস বেশি জনপ্রিয়। আর ইনসাইড হাইয়ার জেনারেশন ল্যাবের জরিপ বলছে, এই দুই অঙ্গরাজ্যের কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ৩৮ পয়েন্টে ব্যবধানে এগিয়ে আছেন কামালা।
ভোটারদের একজন বলেন, ‘দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী প্রেসিডেন্ট- আমি এটাই দেখতে চাই। তার নির্বাচনী প্রচারণাও আমার ভালো লেগেছে। তার বক্তব্য ও দাবির সাথে আমিও একমত।’
আরেকজন বলেন, ‘ট্রাম্প মিম বানানোর জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি। তিনি এমন একজন, যার কথা শুনে হাসি আসে। কিন্তু তাকে বিশ্বাস করে দেশ চালানোর দায়িত্ব দেয়া যায় না।’
রয়টার্স ইপসস জরিপে মিশিগান অঙ্গরাজ্যে কামালা শুরু থেকেই এগিয়ে থাকলেও তরুণ ও নারী ভোটারদের সমর্থন ছাড়া উইনিং স্কোর আসবে না এমন পূর্ভাবাস দিচ্ছে মার্কিন গণমাধ্যম। তবে শুধু মিশিগান নয় অন্যান্য স্টেটের নারী ভোটারদের সমর্থন আদায়ে গর্ভপাতের অধিকারকে সামনে রেখে প্রচার সভা করছেন কামালা।
শুক্রবার আরেক ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট উইসকনসিনে এমনই একটি সভা করেন কামালা। এদিন কামালার প্রতি সমর্থন জানিয়ে মঞ্চে মাতিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় র্যাপ তারকা কার্ডি বি। গর্ভপাত ইস্যুতে রিপাবলিকানদের কট্টরপন্থী অবস্থানের বিরোধিতা করে কার্ডি বি জানান, নারীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার বিষয়ে কোনো ঝুঁকি নেবেন না তিনি। আর নারীদের অধিকার রক্ষার লড়াই চালিয়ে যেতে অঙ্গরাজ্যটির ভোটারদের সমর্থন চেয়েছেন কামালা।
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিস বলেন, ‘আমরা পিছু হটবো না। আমি কথা দিচ্ছি, আপনাদের হয়ে লড়াই করার সুযোগ দিলে, কোনো প্রতিবন্ধকতাই আমাকে থামাতে পারবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের র্যাপ তারকা কার্ডি-বি বলেন, ‘ট্রাম্প বলছেন, আপনি চান বা চান তিনি নারীদের সুরক্ষায় কাজ করবেন। তবে, নারীদের সুরক্ষা দিতে গিয়ে তিনি যদি আমাদের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চান, আমাদের সন্তানদের অধিকার কেড়ে নেয়ার অপচেষ্টা করেন- তাহলে সেই সুরক্ষা আমি চাই না।’
জনমত জরিপ থেকে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা ও পপুলার ভোটে কে এগিয়ে থাকছেন তার পূর্বাভাস পাওয়া গেলেও, নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল নির্ভর করে অনেক হিসাব নিকাশের ওপর। তবে, নারীদের সমর্থন আদায়ে মরিয়া ডেমোক্র্যাট শিবিরের রাজনৈতিক কৌশল থেকে এটি স্পষ্ট- এবারের নির্বাচনের ফল নির্ধারণে গর্ভপাতের অধিকার ও নারী ভোটার ইস্যু এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।