সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণের পরিবর্তে মহাকাশযানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মহাকাশে এক সপ্তাহের মিশনে গিয়ে আর ফিরতে পারেননি দুই নভোচারী সুনি উইলিয়াম আর বাচ উইলমোর। কারণ বিকল হয়ে গেছে তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার মহাকাশযান বোয়িংয়ের স্টারলাইনার। বাধ্য হয়ে তাদের মাসের পর মাস থাকতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে।
আশার খবর, এই দুই নভোচারীকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে মহাকাশে পৌঁছেছে স্পেস এক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল। সফলভাবে ডক করেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই মহাকাশযানে করেই পৃথিবীতে ফিরবেন সুনি ও বাচ।
স্পেস এক্সের ক্রুড ড্রাগন ক্যাপসুলে মহাকাশে গেছেন নাসার নভোচারী নিক হেগ ও রুশ নভোচারী আলেক্সান্ডার গর্বুনভ। ক্যাপসুলে রয়েছে ফাঁকা আরও দু'টি সিট, এই সিটে করেই ফেরত আসবেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করা দুই নভোচারী।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এই ক্যাপসুল লঞ্চ করার কথা থাকলেও হারিকেন হেলেনের কারণে তা পিছিয়ে যায়। এর আগে গেলো ৫ জুন বোয়িংয়ের স্টারলাইটনারে করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যান দুই নভোচারী। ফ্লাইটের সময় বেশ কয়েকটি সমস্যায় পড়তে হয় এই মহাকাশযানকে। প্রকৌশলীরা অনেক দিন চেষ্টা করেও সমস্যার কোন সুরাহা করতে না পারায় সেই স্টারলাইনারে করে আর ফেরত আসে না দুই নভোচারী।
২০১৪ সালে একই সময়ে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং আর মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেস এক্সের সঙ্গে মহাকাশে নভোচারী পাঠাতে ৪২০ ও ২৬০ কোটি ডলারের চুক্তি করে নাসা। স্পেস এক্স প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২০ সালে, এটি প্রথম বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেটি নভোচারী নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাবে।