উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে বাইডেন প্রশাসনের নতুন পদক্ষেপ

নির্বাচনের আগে বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে নতুন পদক্ষেপ নিলো বাইডেন প্রশাসন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, ক্ষমতা ছাড়ার পরেও অস্ত্র ব্যবসায় দায়মুক্তির বিরুদ্ধে কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি। প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের বিপক্ষে নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন কামালা হ্যারিস। এদিকে জয়ী হলে ইরানের ইউরেনিয়াম সম্মৃদ্ধকরণ ঠেকাতে দেশটির সঙ্গে নতুন চুক্তি করার কথা জানিয়েছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী অনুযায়ী অস্ত্র বহন ও ব্যবহারের অধিকার দেয়া হয়েছে দেশটির নাগরিকদের। তবে এক্ষেত্রে দেশজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে বন্দুক সহিংসতা।

গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে ৩৮৫টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। গেল ৪ বছরে বন্দুক হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে আইন প্রণয়ন করতে চাইলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে প্রতিবারই বাধার সম্মুখীন হচ্ছে তারা।

এমন পরিস্থিতিতে বন্দুক সহিংসতা কমিয়ে আনতে নির্বাহী আদেশ জারি করেছে জো বাইডেন প্রশাসন। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী গঠন করা হয়েছে ফেডারেল টাস্ক ফোর্স। থ্রিডি প্রিন্টেড অস্ত্র, রূপান্তরিত অস্ত্র ও সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা যুক্ত অস্ত্রগুলো বন্দুক সহিংসতার ক্ষেত্রে কেমন প্রভাব ফেলবে তা খতিয়ে দেখবে বিশেষ এই দল।

বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, 'তিনি প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের পক্ষে।'

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট জানান, অস্ত্র ব্যবসার ক্ষেত্রে দায়মুক্তির বিরুদ্ধে কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, 'আমি বন্দুক সহিংসতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে আসছি। ক্ষমতা ছাড়ার পরেও এটি অব্যাহত রাখবো। বন্দুক ব্যবসায় দায়মুক্তির প্রথা শেষ করতে হবে।'

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস বলেন, 'হয় আপনি সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীর পক্ষে নয়তো আপনি সবার হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নিতে চান। এই ব্যখ্যাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি দ্বিতীয় সংশোধনীর পক্ষে। এবং আমি বিশ্বাস করি প্রাণঘাতী অস্ত্র নিষিদ্ধ করা উচিত। একইসঙ্গে ব্যবহারকারী অতীত ইতিহাস, সেফ স্টোরেজ ও রেড ফ্ল্যাগ আইন পাস করা প্রয়োজন।'

এদিকে আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের খুবই সন্নিকটে আমরা। ক্ষমতায় থাকলে ইসরাইলে হামাস হামলা চালাতে পারতো না বলেও দাবি করেন তিনি। নিউইর্য়কে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, নির্বাচনে জয়ী হলে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ঠেকাতে দেশটির সঙ্গে নতুন চুক্তি করবেন তিনি।

রিপাবলিকান পার্টি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'মধ্যপ্রাচ্য বা যেকোনো ক্ষেত্রেই আমরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সন্নিকটে। ৭ অক্টোবরের ঘটনা কখনোই হতো না। একজন যোগ্য প্রেসিডেন্ট থাকলে তিনি এই ঘটনা থামাতে পারতেন। ইরানের কাছে অর্থ নেই। সবচেয়ে মজার গল্প এটি। কিন্তু ইরান আমাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ চুক্তি করতে পারতো। সেক্ষেত্রে তারা পারমাণবিক অস্ত্র পেতো না। অন্যদিকে তাদের অর্থ না থাকায়, আমরা সাহায্য করতাম।'

এদিকে গেল ১৩ জুলাই পেনসিলভেনিয়ায় ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় মার্কিন আইন প্রণেতাদের তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছে সিক্রেট সার্ভিস। ঘট না তদন্তে গঠিত কংগ্রেশনাল টাস্ক ফোর্সের প্রথম দিনের শুনানিতে আলোচনা করা হয় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়গত ব্যর্থতা ও ভুল পদক্ষেপ নিয়ে।

এফএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর