দুই মাসের ব্যবধানে আবারও বন্দুক হামলার শিকার হলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ যাত্রায়ও বেঁচে গেলেন তিনি। স্থানীয় সময় রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে গলফ খেলার সময় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে হামলাকারী। তবে এর আগেই ট্রাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা বন্দুকধারীকে লক্ষ্য করে গুলি করে।
একটি এসকেএস আধা স্বয়ংক্রিয় লোডেড রাইফেল, দু'টি ব্যাকপ্যাক ও একটি গোপ্রো ক্যামেরা রেখে গাড়িতে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় বন্দুকধারীকে আটক করে ট্রাম্পের নিরাপত্তা বাহিনী। হামলাকারীর গাড়ির নম্বার প্লেটও ভুয়া ছিল। পরে অক্ষত অবস্থায় ট্রাম্পকে দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।
ট্রাম্পকে হত্যা করার জন্য গলফ ক্লাবের কাছেই একটি ঝোপের মধ্যে ১২ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন ৫৮ বছর বয়সী রুথ। তার বিরুদ্ধে বন্দুক-সম্পর্কিত আইনে দু'টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে স্থানীয় ফেডারেল আদালতের এক সংক্ষিপ্ত শুনানিতে সিক্রেট সার্ভিস জানায়, হামলাকারী ট্রাম্পকে লক্ষ্যে করে কোনো গুলি চালাতে পারেনি।
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মার্কিন অ্যাটর্নি মার্কেঞ্জি ল্যাপোইন্ট সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্য বের করতে তদন্ত চালিয়ে যাবে এফবিআই। হত্যাচেষ্টার রহস্য উদ্ঘাটনে হামলাকারীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট পর্যালোচনা করছে তারা।
তিনি আরও বলেন, ' হামলাকারী রুথের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। বিনা অনুমতিতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। তার বন্দুকের লাইসেন্সের মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছিল।'
এফবিআই-এর বিশেষ এজেন্ট জেফ্রি ভেলট্রি বলেন, 'সন্দেহভাজন ব্যক্তি গলফ ক্লাবের আশেপাশে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষায় ছিল। প্রাথমিক তদন্ত শেষে এতটুকু জানা গেছে যে, তিনি অনলাইনে বিভিন্ন উগ্র গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করার জন্য আফগান সেনা ও অন্যদের নিয়োগ দিতে চেয়েছিলেন ওই হামলাকারী।'
আদালতের নথি থেকে জানা যায়, হামলাকারী রুথের বিরুদ্ধে এর আগেও দু'টি মামলা হয়েছে। ২০০২ সালে লাইসেন্সবিহীন স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র রাখার দায়ে একটি এবং ২০১০ সালে আরেকটি চুরির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়। এর আগের মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন করলেও, এবার বাইডেন ও কামালাকে সমর্থন জানিয়ে প্রচারণা চালান তিনি।
এদিকে, সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছে ট্রাম্প বলেন, তাদের সর্বাত্মক চেষ্টায় এবারও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। গেল জুলাই মাসে পেনসিলভেনিয়ার সমাবেশে ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে সব মহলে। এর জেরে পদত্যাগ করেন সিক্রেট সার্ভিসের প্রধান।