আর মাত্র একদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক। প্রথম দফায় শোচনীয়ভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাস্ত হন জো বাইডেন।
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ডেমোক্র্যাট পার্টির ব্যাটন গেছে কামালা হ্যারিসের কাছে। সবগুলো জনজরিপেই প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট। তবে নির্ভার থাকার চেষ্টায় ব্যস্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এই বিতর্কের একদিন আগে উইসকনসিনে নির্বাচনী জনসভায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, মঙ্গলবারের বিতর্কে প্রমাণ পাওয়া যাবে, কীভাবে ৪ বছর দেশ চালিয়েছে মূর্খরা।
রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘বন্ধুরা, মূর্খের দল আমাদের পরিচালনা করছে। জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কে আমরা এর প্রমাণ পেয়েছি। মঙ্গলবার রাতে আমরা আবারো এর প্রমাণ পাবো। কেউ কি এর সাক্ষী হতে চান?’
জনসভায় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কামালা হ্যারিসের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প। কামালা নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসের নিকৃষ্ট প্রেসিডেন্ট পাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘প্রাইমারিতে বাইডেন ১ কোটি ৪০ লাখ ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু কামালার কোনো সমর্থন ছিলো না। তারপরও কামালাকে প্রার্থী করা হলো। কারণ কামালার কর্তারা তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। নির্বাচিত হলে কামালাই হবেন ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রেসিডেন্ট। এমনকি বাইডেনের চেয়েও নিকৃষ্ট।’
তবে বিতর্ক ঘিরে ট্রাম্পের চেয়েও আত্মবিশ্বাসী কামালা। পেনসিলভেনিয়ার একটি মশলার দোকানে সমর্থকদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সময় কামালা জানান, বিতর্কের সব উপকরণই পেয়েছেন এই দোকানে।
রিপাবলিকান পার্টির এ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বলেন, ‘এই দোকানে আসার মাধ্যমে বিতর্কের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারলাম। বিতর্কের প্রস্তুতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এই মশলা।’
এদিকে বিতর্কের আগে জর্জ ডাব্লিউ বুশ প্রশাসনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির সমর্থন পেলেন কামালা হ্যারিস।
লিখিত বিবৃতিতে চেনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হুমকি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই তিনি ও তার মেয়ে প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান পার্টির সদস্য লিজ চেনি দেশের স্বার্থে নির্বাচনে সমর্থন দিচ্ছেন কামালাকে।
