ব্যাকস্টেজ থেকে হেঁটে আসার সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের মোবাইল বেজে ওঠে। অপর প্রান্ত থেকে ভাইস প্রেসিডেন্টকে 'কামালা'- বলে সম্বোধন করেন একজন, তার কণ্ঠস্বর সকলেরই চেনা। তিনি আর কেউ নন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
তিনি বলেন, 'এটা জানাতে টেলিফোন করেছি, আপনার প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। আপনাকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিতে পেরে আমরা গর্বিত। নির্বাচনে আপনার বিজয় নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।'
দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনা শেষে বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামার সমর্থন পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন কামালা হ্যারিসও। ওবামা দম্পতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীতে একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। আর কামালার সাথে ফোনালাপের পর এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্টও দিয়েছেন ওবামা।
জো বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পরপরই প্রার্থীতা চূড়ান্ত করতে মরিয়া হয়ে ওঠে ডেমোক্র্যাট শিবির। ৫০ জন বর্ষীয়ান নেতা কামালার পক্ষে রায় দিলেও ওবামা ও সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি'র ভিন্ন মত দলের ঐক্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। অগাস্টে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের আগে অনলাইন ভোটের প্রস্তাবও আসে নানা মহল থেকে। তবে ওবামা'র সমর্থন কামালার জন্য স্বস্তির, এ বিষয় নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই।
এদিকে, প্রার্থীতা চূড়ান্ত না হলেও আগাম জরিপে চমক দেখাতে শুরু করেছেন কামাল হ্যারিস। প্রত্যাশার চেয়ে এগিয়ে আছেন অনেক ক্ষেত্রেই। সম্প্রতি রয়টার্সের সাথে নতুন এক জরিপ প্রকাশ করেছে গবেষণা সংস্থা ইপসস। সেখানে ৪৪ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন কামালা। ট্রাম্প পেয়েছেন ৪২ শতাংশ সমর্থন।
জরিপ করেছে সিএনএন, সিবিএস নিউজ, এক্সিয়সের মতো গণমাধ্যম ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানও। সেখানে দেখা গেছে তরুণ ও অনিবন্ধিত ভোটারদের কাছে এখনও জনপ্রিয় ট্রাম্প। সমর্থন পেয়েছেন হিস্পানিক ভোটারদেরও। তবে, কামালার প্রতি নারী ও কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের সমর্থন বেড়েছে লক্ষণীয় হারে। এখন, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠাতব্য দ্বিতীয় নির্বাচনী বিতর্কে ট্রাম্প-হ্যারিস লড়াইয়ের দিকে নজর থাকবে বিশ্বের।