উন্নত ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের সুবিধার জন্য অনেকের কাছেই পছন্দের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে কানাডা। বিত্তবানরা কোভিডকালের আগপর্যন্ত এই সুযোগও নিয়েছেন বেশ ভালোভাবেই। বিনিয়োগ করেছেন আবাসন খাতে। বাড়ির মালিক হয়ে আবাস গড়েছেন। অনেকে 'সেকেন্ড হোম' বানিয়েছেন কানাডার বিভিন্ন শহরকে। এই তালিকায় বাংলাদেশের কোটিপতিদের মধ্যে অনেকেরই নাম শোনা যায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।
বিদেশিরা এসে কানাডায় বাড়ি কেনায় বেড়েছে এই খাতের মূল্যস্ফীতি। যাতে আবাসন খাতে দেখা দেয় মন্দা। যা নিয়ন্ত্রণে ২০২৩ সালের শুরু থেকে দুই বছরের জন্য তাদের সম্পত্তি কেনায় নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। যার মেয়াদ স্থায়ীভাবে আরও কয়েক বছর বাড়ানো হলো।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ঘোষণা দেন, ২০২৭ সাল অব্দি কানাডার বাসিন্দা ছাড়া অন্য কেউ এসে বাড়ি কিনতে পারবেন না। এর মাধ্যমে আবাসন খাতের মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছে জাস্টিন ট্রুডো প্রশাসন।
দেশটির আবাসন খাতে অনিয়ন্ত্রিত অর্থের প্রবাহ বন্ধ করলে বাড়ির দাম ও বাসাভাড়াও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
কানাডায় আবাসন ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান মিলন বলেন, 'এখানে আবাসন সংকট প্রচুর। টরন্টোতে চাপ সবচেয়ে বেশি।'
তবে এই সিদ্ধান্ত বাড়িভাড়া কমাতে পারবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তার কারণ, যে সংখ্যক মানুষ বসবাস করেন তার বিপরীতে সেই পরিমাণ বাড়ি নেই। সরকারের প্রকল্পগুলো যথেষ্ট নয় বলেও উল্লেখ করছেন তারা।
২০২১ সালে কানাডায় বাড়ির দাম বাড়ে প্রায় ২০ শতাংশ। যার লাগাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী। জাতীয় আবাসন সংস্থা কানাডা মর্টগেজ অ্যান্ড হাউজিং করপোরেশন বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখের মতো হাউজিং ইউনিট প্রয়োজন হবে। যাতে প্রায় ৬০ লাখ নতুন বাড়ি তৈরি করতে হবে। হাতে সময় আছে ছয় বছরেরও কম।