ক্ষমতায় এলে উত্তর কোরিয়াকে স্বীকৃতি দেবেন ট্রাম্প!

0

চীনের হাত ছেড়ে চিরশত্রু যুক্তরাষ্ট্রের বলয়ে ফিরতে পারেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতায় এলে এভাবেই চীনের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়াকে কাজে লাগাবেন তিনি।

বছরখানেক বাদেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর একে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে সমীকরণ মেলানোর কাজ।

এবারের নির্বাচনে কে ক্ষমতায় আসবেন? ক্ষমতাসীন বাইডেন সরকারকে হটিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কী পুনরায় বসতে পারবেন ক্ষমতার মসনদে? এ নিয়েও যেন আলোচনার শেষ নেই।

আর এ রিপাবলিকান নেতা যদি পুনরায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তবে কোন দিকে মোড় নেবে বিশ্ব রাজনীতি।

এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তারা উল্লেখ করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতায় এলে বৈদেশিক নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনবেন তিনি। 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতিতে হবেন আরও কঠোর।

দাবি করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্রের রাষ্ট্র হিসেবে বৈধতা দেবেন তিনি। এবং দেশটির নিউক্লিয়ার অস্ত্র সক্ষমতা বজায় রাখতে কোন ধরনের বাধা দেয়া হবে না।

ট্রাম্পের প্রশাসন আমলে, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উত্তর কোরিয়াকে সর্বোচ্চ চাপে রাখার চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উনকে আলোচনার টেবিলে বসতে চাপ প্রয়োগ করে দেশটি। আর যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে ব্যর্থ হন ট্রাম্প। আর এখনও যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে রয়ে গেছে উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক শক্তিতে নিরস্ত্রীকরণের কথা।

তবে কোন কিছুকেই তোয়াক্কা না করে কিম জন উন নিজের মতো করে চালিয়ে যাচ্ছে পরমাণু শক্তির পরীক্ষা। উত্তর কোরিয়া থেকে যেকোন জায়গায় চাইলে এখন তারা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে বলে দাবি পিয়ংইয়ংয়ের।

এ পর্যায়ে এসে যুক্তরাষ্ট্র যদি উত্তর কোরিয়াকে কোন চাপ না দেয় এবং পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় তবে পিয়ংইয়ংএর অবস্থানই বা কী হবে। এক্ষেত্রে বিশ্লেষকরা মনে করছেন কোনভাবেই উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মেলাবে না। আর যদি কিম জন উন এমনটা করে তবে তা হবে পুরোপুরি চীন বিরোধী।

তবে এ কথাও উড়িয়ে দেয়া যায় না যে, চীন ছাড়া উত্তর কোরিয়ার বিকল্প কোন বন্ধু না থাকাই কেবল তারা বেইজিং এর সঙ্গে সুসম্পর্ক ধরে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বৈধতার সুযোগ পেলে তা হাত ছাড়ার পাত্র নয় কিম।

জাতীয় স্বার্থে খুশি মনেই তা বরণ করে পুরোপুরি ইউটার্ন নিতে পারেন উত্তর কোরিয়ার এই নেতা।

এসএস