প্রবাসে শুধু শ্রম বিক্রিই নয়, বিনিয়োগ করে ব্যবসায়ী বনে যাচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা অর্থাৎ খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ দিয়ে লাভবান হওয়ার দিকে ঝুঁকছেন অনেক রেমিট্যান্স যোদ্ধা। এভাবেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাড়ছে বাংলাদেশি হোটেল-রেস্তোরাঁর সংখ্যা।
দেশের কাচ্চি ও শাহী বিরিয়ানির স্বাদ আমিরাতে ছড়িয়ে দিচ্ছেন অনেক প্রতিষ্ঠান। সবমিলিয়ে রন্ধনশিল্পে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশিরা কাজ করছেন। তেমন বিদেশে বসে দেশীয় খাবারের স্বাদ পেয়ে খুশি প্রবাসীরা। তাই এই ব্যবসায় সম্ভাবনা দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। একইসঙ্গে কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে।
কর্মব্যস্ত প্রবাসীদের কথা মাথায় রেখে এসব ভোজন বিলাস প্রতিষ্ঠানে নামমাত্র মূল্যে হোম ডেলিভারি সার্ভিস রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও ভোক্তার পছন্দমতো খাবার তৈরির ব্যবস্থাও আছে।
প্রবাসী রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী আল মামুন বলেন, ‘আমরা প্রবাসীদেরকে সর্বোচ্চ ভালো মানের খাবার দেয়ার চেষ্টা করি।’
দুবাই-বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আশীষ কুমার সরকার বলেন, ‘আমার দেশের যেমন প্রচারণা হচ্ছে তেমন খাবারের ব্র্যান্ডিং হচ্ছে। তাই খাবারের মান ধরে রাখার পাশাপাশি দাম ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে রাখতে হবে।’
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি পর্যটননির্ভর হওয়ায় রেস্তোরাঁ খাতে বিনোয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আর এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে আন্তর্জাতিক মান ধরে রাখা গেলে বাংলাদেশের রন্ধনশিল্পের ঐতিহ্য যেমন বাড়বে, তেমন সুনামও ছড়িয়ে পড়বে।