সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে হামলার পর গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরাইলে শত শত ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায় ইসরাইল। বেশিরভাগ ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার আগেই ধ্বংস করা হয়েছে। যদিও হামলায় এক শিশু মারাত্মক আহত হয়েছে। সামনে কী ঘটে তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় আছে ইসরাইলের মানুষ।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান রোববার জানান, ইরান ইসরাইলের পাশের দেশ এবং তাদের বন্ধুরাষ্ট্র আমেরিকাকে ৭২ ঘণ্টার নোটিশ দিয়েছিল।
তুর্কিয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও জানান, তেহরান ও ওয়াশিংটনের সাথে তাদের কথা হয়েছে। মধ্যস্থতাকারি হিসেবে তারা পরস্পরের কাছে বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।
দেশটির একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলে এই হামলা। এর বাইরে ইরান আর কিছু করবে না। আমরা এই হামলার বিষয়ে আগেই অবগত ছিলাম।
তবে বাইডেনের প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আমিরাবদুল্লাহিয়ানের বিবৃতি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সুইস মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইরানের সাথে যোগাযোগ করেছিল তারা। কিন্তু ৭২ ঘণ্টা আগে কোনও নোটিশ পায়নি।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি একেবারেই সত্য নয়। তারা কোনও নোটিশ দেয়নি, বা ধারণাও দেয়নি ... এমন কোনও ধারণা দেয়নি যে, ‘এরা লক্ষ্যবস্তু হবে, তাই তাদের উদ্ধার করুন।’
এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, হামলা শুরু হওয়ার পরেই তেহরান যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিল এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল ‘অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক’।
আর ইরান, তুর্কিয়ে এবং জর্ডানের কর্মকর্তারা বলছেন, গত সপ্তাহেই ইরান বিস্তারিতভাবে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল।
ইরানের হামলার পর ইসরাইল কি ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা এখনও অস্পষ্ট। তবে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না ইসরাইলের মানুষ। ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, উপযুক্ত সময়েই ইরানের ওপর প্রতিশোধ নেবে ইসরায়েল।