অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ রুপিতে ছাড়ছে ভারত সরকার। একই লক্ষ্যে গেল ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করে দেশটি, যা চলতি মার্চ মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
তবে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই বাংলাদেশকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দিতে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। একইসঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ১৪ হাজার ৪শ' টন পেঁয়াজ পাঠানো হবে।
সোমবার (৪ মার্চ) দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বন্ধু দুই দেশের অনুরোধে সাড়া দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে অনুমতি মিললেও রপ্তানি শুরু হবে কবে নাগাদ, তা অনিশ্চিত বলছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘এখন পরিবহন ব্যয় যেভাবে বেড়েছে, এভাবে পেঁয়াজ নিয়ে খুব বেশি লাভ হবে না। আমরা শুনেছি পেঁয়াজ যাবে, কিন্তু কবে যাবে সেটা তো নিশ্চিত না।’
এদিকে নতুন পেঁয়াজ উঠলে দাম আরও কমবে এবং ভোক্তা পর্যায়ে বেশ সহনীয় দামেই বিক্রি হচ্ছে পুরনো পেঁয়াজ। কিন্তু রসুনের দাম বাড়তে শুরু করেছে। কলকাতাতেই মানভেদে বিভিন্ন ধরনের রসুন ২৫০ থেকে শুরু করে ৫শ' রুপি পর্যন্ত বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে প্রতি কুইন্টাল রসুন ১০ থেকে ১২ হাজার রুপিতে বিক্রি করছেন কৃষকরা। দাম কমে যাওয়ার শঙ্কায় এখনই ক্ষেত থেকে রসুন তোলা শুরু হয়েছে।
এক কৃষক বলেন, রসুন তোলার এখনও সময় আছে। কিন্তু দাম কমে যাওয়ার শঙ্কায় রসুন তুলে ফেলা হচ্ছে।
এছাড়া চাল রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই পশ্চিম আফ্রিকার তিন দেশকে এক লাখ টনের বেশি নন-বাসমতি সাদা চাল ও খুদের চাল রপ্তানিতে অনুমোদন দিয়েছে দিল্লি। এর আগে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশেও সীমিত পরিমাণে চাল রপ্তানির অনুমতি দেয় বিজেপি সরকার।