বিদ্যুৎ গ্রিড লক্ষ্য করে ভয়াবহ রুশ হামলায় অন্ধকারে ডুবে আছে ইউক্রেনের লাখ লাখ পরিবার। জেনারেটর ও সৌর বিদ্যুৎ এখন একমাত্র ভরসা। শুধু মোবাইলে চার্জ দিতে ভিড় বাড়ছে জেনারেটর থাকা জায়গাগুলোতে। এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সময় কাটছে ওডেসা, চেরনিহিভ, খেরসন, দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক, কিরোভোহরাদ ও মাইকোলাইভ অঞ্চলের বাসিন্দাদের।
তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের ফোন চার্জ করতে এখানে এসেছি। কারণ এখানে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবার বাড়িতে জেনারেটর নেই।’
শনিবার রাতভর সাড়ে ৪শ’র বেশি রুশ ড্রোন ও ৩০টি মিসাইল হামলায় এমন বিপর্যয় পরিস্থিতিতে পরেছে ইউক্রেনের বেশ কয়কটি অঞ্চল। বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ১০ লাখের বেশি পরিবার তীব্র শীতের মধ্যে কঠিন সময় পার করছে। তবে কেবল ইউক্রেনের একাধিক সামরিক-শিল্প প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দাবি মস্কোর। বড় দুর্ঘটনা এড়াতে পারমাণবিক জ্বালানি অবকাঠামোতে আক্রমণ না চালানোর আহ্বান আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ)।
আরও পড়ুন:
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই শীত মৌসুমে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলো লক্ষ্য করে হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে আসছে রাশিয়া। যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যে সম্প্রতি ইউক্রেনের ভূমি দখলে অভিযানের মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে মস্কো। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তির সর্বশেষ খসড়া নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে জার্মানিতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। সোমবার বার্লিনে হতে যাওয়া বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, ‘বার্লিনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় বন্ধুদের সাথে বৈঠকের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যুদ্ধের অবসানে আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করব। নিরাপত্তার গ্যারান্টি ও রাশিয়ার দখলে থাকা ভূখণ্ড ফিরে পাওয়া আমাদের প্রধান প্রাধান্য। এছাড়া রাশিয়া আর কখনও হামলা চালাবে না সেই গ্যারান্টিও প্রয়োজন।’
এদিকে ইউক্রেনের দুটি বন্দরে রাশিয়া আঘাত হানার একদিন পর শনিবার ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে একটি তুর্কি জাহাজ। মিশরগামী সূর্যমুখী তেল বহনকারী জাহাজটিতে হামলার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেনের নৌবাহিনী। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।





