অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ‘প্যানোরামা’ ডকুমেন্টারির একটি অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ বিকৃতির ঘটনা কেন্দ্র করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির ভেতরে নানা সংকট তৈরি হয়েছে। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও ওঠে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
অভিযোগের তদন্ত করতে সংস্থাটিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠির জবাব দিতে দেরি করে সংবাদমাধমটি। অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে বোর্ড মেম্বারদের মতবিরোধের কারণেই এমনটা হয় বলেও সমালোচনা রয়েছে।
যদিও এমন আলোচনা ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন সংবাদমাধ্যমটির চেয়ারম্যান। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তদন্তের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদের কোনো আপত্তি নেই বলেও জানান তিনি।
বিবিসির চেয়ারম্যান সমীর শাহ বলেন, ‘নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই চিঠির জবাব দেয়া হয়েছে। কী ভুল হয়েছে তা তদন্ত করতে এবং তা সংশোধন করতে চেয়েছিলাম। বোর্ডের সবার ঐক্যমতের বিষয়টি নিশ্চিত করতেই আলোচনা করা হয়েছিল। সেখানে কোনো বিশৃঙ্খলা ছিল না।’
আরও পড়ুন:
বিবিসির বোর্ড মেম্বার ক্যারোলিন থমসন বলেন, ‘চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা কেবল সম্পাদনার জন্য ক্ষমা চাইব কিনা, নাকি সম্পাদনার প্রভাবে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চাইবো সে বিষয়ে সকলে একমত হওয়ার চেষ্টা করছিলাম।’
এদিকে প্রথমবারের মতো হাউস অব কমন্সের একটি কমিটির সামনে পক্ষপাতের অভিযোগ নিয়ে বক্তব্য দেন বিবিসির সাবেক সম্পাদকীয় উপদেষ্টা মাইকেল প্রেসকট। এর আগে বিবিসির বেশ কিছু পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
বিবিসির সাবেক সম্পাদকীয় উপদেষ্টা মাইকেল প্রেসকট বলেন, ‘আমি মনে করি না এটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট। বিবিসি বাস্তবসম্মত প্রোগ্রামিং এবং অ-কার্যকর প্রোগ্রামিং উভয় ধরণের অনেক কাজ করে। বিবিসি আমার মতবিরোধ এবং উদ্বেগের মূল বিষয় ছিল না। কিছু সম্পাদনায় সমস্যা ছিল। আমি আশা করি তারা পরিবর্তন হবে।’
ট্রাম্পের সবশেষ ভাষণ নিয়ে তৈরি প্যানোরমা অনুষ্ঠান সম্পাদনার বিষয়ে আগেই উদ্বেগ জানিয়ে বিবিসিকে একটি চিঠিও লিখেছিলেন প্রেসকট।





