বিশ্বনন্দিত ডিজাইনার আরমানির মুত্যুতে শোকের ছায়া ফ্যাশন দুনিয়ায়

জর্জিও আরমানি | ছবি: সংগৃহীত
1

ইতালির কিংবদন্তি ফ্যাশন ডিজাইনার ও আরমানি ব্রান্ডের প্রতিষ্ঠাতা জর্জিও আরমানি আর নেই। গতকাল (বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে আরমানি গ্রুপ জানিয়েছে পরিবারের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ৯১ বছর বয়সী প্রতিভাবান এ ডিজাইনার ও ব্যবসায়ী। প্রিয় আইকনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ফ্যাশন দুনিয়ায়।

গেল ২১ মে শেষবারের মতো জনসমক্ষে আসেন ইতালির কিংবদন্তি ফ্যাশন ডিজাইনার ও আরমানি ব্রান্ডের প্রতিষ্ঠাতা জর্জিও আরমানি। অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত ছিলেন মিলান মেনস ফ্যাশন উইকে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে যা এমনটা কখনোই করেননি তিনি। হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন ফ্যাশনের দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার সময় এসেছে তার।

বৃহস্পতিবার পরিবারের উপস্থিতিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছেন জর্জিও। আরমানি গ্রুপ এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবর জানায়। সেখানে বলা হয়, প্রতিষ্ঠাতা ও সৃজনশীল শক্তি হিসেবে শেষ দিন পর্যন্ত তিনি কোম্পানি বিভিন্ন কাজে নিবেদিত ছিলেন তিনি। আরমানির ইচ্ছানুসারে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে ব্যক্তিগত, তবে মিলানে ‘তিয়াত্রো আরমানি’-তে আগামী শনি ও রোববার দুই দিন জনসাধারণের জন্য শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ থাকবে।

বিশ্বনন্দিত এ ডিজাইনার ও ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ফ্যাশন জগতে।

আরও পড়ুন:

‘রে জর্জিও’ কিংবা ‘কিং জর্জিও’ নামেও পরিচিত এ ডিজাইনার ব্যবসার প্রতিটি দিক তত্ত্বাবধান করতেন নিষ্ঠার সঙ্গে। বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে মডেলদের চুল ঠিক করা- সবখানেই ছিল তার মনোযোগ। ইতালীয় শৈলী ও রুচির প্রতীক জর্জিও আধুনিক রুচির মিশলে ডিজাইন করেছিলেন নারী ও পুরুষের স্যুট। যা তাকে পৌঁছে দেয় খ্যাতি শীর্ষে। জর্জিওর প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড আরমানি প্রথমে ফ্যাশন কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও পরে এ ব্রান্ডটি প্রসাধনী পণ্য, সুগন্ধি, সঙ্গীত, খেলাধুলা এমনকি বিলাসবহুল হোটেল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

১৯৩৪ সালের ১১ জুলাই ইতালির পিয়াচেনৎসায় জন্ম নেয়া আরমানি প্রথমে চিকিৎসাবিদ্যা পড়তে শুরু করলেও পরে পা রাখেন ফ্যাশন জগতে। ১৯৭৫ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন নিজের ব্র্যান্ড, যা দ্রুত বিশ্বজুড়ে আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে ওঠে।

ফোর্বসের হিসাবে আরমানির সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ১২.১ বিলিয়ন ডলার। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে জর্জিও আরমানিকে ইতালিয়ান ফ্যাশনের গৌরব হিসেবে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।

এসএস