রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের পরিকল্পনা থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে ইউক্রেন। প্রায় ৩ বছরের যুদ্ধের মধ্যে গেল মাসে প্রথমবারের মতো অস্ত্রবিরতিতে আগ্রহের কথা জানান ভলোদিমির জেলেনস্কি। পাশাপাশি দখলকৃত অঞ্চলগুলো পুতিন সেনাদের কাছ থেকে ফেরতের বিষয়েও পিছিয়ে আসেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট।
এবার সংঘাত নিরসনে শান্তিরক্ষী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন জেলেনস্কি। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) পোলিশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জানান, ইইউর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রস্তাব উত্থাপন করবেন তিনি। যদিও এখনো কিয়েভকে ন্যাটোভুক্ত করার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘বিদেশি শান্তিরক্ষীদের মোতায়েনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ইইউ বৈঠকে এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করবে ইউক্রেন। পাশাপাশি আমাদের সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করতে দূরপাল্লার অস্ত্র ও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষাখাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হবে।’
যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেন বিষয়ক দূতকে কিয়েভ পাঠাতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, জানুয়ারির শুরুতেই কেইথ কেলোগকে পাঠানো হতে পারে যুদ্ধকবলিত দেশটিতে। এর একদিন আগে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, সংঘাত নিরসনে পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে বাইডেন নির্বুদ্ধাতার পরিচয় দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।
এদিকে কূটনীতির পাশাপাশি যুদ্ধ কবলিত দুই দেশের মধ্যে লড়াইও চলছে পুরোদমে। কুরস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের সরিয়ে দিতে আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া ও উত্তর কোরীয় সেনারা। চাপ বাড়ানো হয়েছে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলেও। আক্রমণের বিষয়টি স্বীকার করলেও অর্ধশতাধিক উত্তর কোরীয় সেনাকে হত্যার দাবি করেছেন কিয়েভের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ।