ইতালীর এপিফ্যানি উৎসবে জমজমাট বেচাকেনা

0

খ্রিষ্টীয় এপিফ্যানি উৎসবের আগের রাতে সান্তা ক্লজের মত করে ইতালিজুড়ে শিশুদের উপহার বিতরণ করে বেফানা। যার মধ্যদিয়ে শিশুদের ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করা হয়। ইতালীয় লোক কাহিনীর এমন উৎসব ঘিরে জমে উঠেছে উপহার বেচাকেনার দেকানগুলো। লাভবান হচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী।

ইতালীয় লোকগাঁথায় বেফানা হলেন এক বৃদ্ধা নারী। খ্রিষ্টীয় এপিফ্যানি উৎসবের আগের রাতে ঝাড়ুতে চড়ে ইতালিজুড়ে ঘুড়ে বেড়ান তিনি। শিশুদের মাঝে বিতরণ করেন উপহার। ঠিক যেমনি বড়দিনের আগের রাতে শিশুদের উপহার দিয়ে যান সান্তা ক্লজ।

যে শিশুরা সারা বছর ভাল আচরণ করে তাদের জন্য মোজায় করে মিষ্টি, চকলেট, ফল বা খেলনা রেখে যায় 'বেফানা'। দুষ্টু শিশুদের মোজায় মেলে কয়লার টুকরো বা রসুন। এমন আনন্দের মধ্যদিয়ে শিশুদের ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করেন বেফানা। যেখানে সামিল হচ্ছে বাংলাদেশি শিশুরাও।

এক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, ‘এটা সুন্দর ঐতিহ্যের পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্য আনন্দের উৎসব। ওরা মোজার ভেতর ক্যান্ডি ও চকলেট পেতে চায়।’

বেফানা বলেন, ‘বাংলাদেশের শিশুদের জানাই শুভ কামনা। মনে রেখো, তোমরা ভালো ব্যবহার করবে, তাহলে এপিফ্যানি হয়ে তোমাদের জন্য মিষ্টি, চকলেট, খেলনা নিয়ে আসবো। বাচ্চাদের জন্য আদর রইল।’

এপিফ্যানি উৎসব ঘিরে রঙ-বেরঙের আলোয় ঝলমলে হয়ে উঠেছে গোটা ইতালি। প্রতিবছরের মতো এবারও মাসব্যপী মেলা বসেছে রোমের নাভানা চত্বরে। সেখানে বাহারী সব পণ্য নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। জমে উঠে বেচাকেনা।

ইতালি প্রবাসী ব্যবসায়ী নূরুল আবসার বলেন, ‘এপিফ্যানি উৎসব ঘিরে আমাদের বেচা-বিক্রি অনেক বেড়ে যায়। এখানে আমাদের বেশি বিক্রি হয় চকলেট জাতীয় খাবার। এই সময়ে অন্য দিনের থেকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা একটু ভালো থাকেন।’

বহু শতাব্দী পেরিয়ে গেলেও কাল্পনিক রাজ্যের রোমান এপিফ্যানি বা বেফানা উৎসব আজও গুরুত্ব বহন করে। প্রতিবছর পর্যটকসহ হাজার হাজার স্থানীয়রা এখনও আনন্দময় পরিবেশ উপভোগ করতে উপস্থিত হন রোমের পিয়াচ্ছা নাভোনায়। ঝাড়ুর উপর বসে ঘুরে বেড়িয়ে উপহার দেয়া পুরোনো সেই যাদুকরী বৃদ্ধার দেখা না পেতেও পারেন। উপহার সামগ্রী কেনার পাশাপাশি ঝলমলে রঙিন আলো আর সুস্বাদু চকলেটের স্বাদ যেন ছড়িয়ে আছে এই উৎসবটি ঘিরে।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর
No Article Found!