যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ভারত সফরে আসলেন কিয়ার স্টারমার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে বুধবার ভারতে আসেন তিনি। দুই দিনের সফরের শেষদিনে বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি।
স্টারমারের এ সফরে তার সঙ্গে আছেন ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শতাধিক প্রতিনিধি দল। এই সফরের অন্যতম লক্ষ্য গেল জুলাই মাসে নয়া দিল্লি ও লন্ডনের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করা। যার আওতায় টেক্সটাইল থেকে শুরু করে গাড়ি পর্যন্ত এবং বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক কমানো এবং ব্যবসার জন্য বাজারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। এছাড়া, ২০৪০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন স্টারমার ও মোদি। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং ২০৩৫ সালের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয় তাদের মধ্যে। দুই নেতার বৈঠকে গুরুত্ব পায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু, শিক্ষা খাতের বিষয়গুলো। এছাড়া ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
এদিকে ভারতে ব্রিটেনের নয়টি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস চালুর কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্যাম্পাস এরইমধ্যে চালু আছে নয়া দিল্লিতে।
শিক্ষাখাতের পাশাপাশি সামরিক খাতেও ভারতীয়দের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্টারমার। ভারতের বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করবে ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্স। খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও বাজারজাত করার ক্ষেত্রে দুই দেশ একে অপরকে সহযোগিতা করবে।
ভারত-যুক্তরাজ্য অংশীদারিত্ব বিশ্বাসযোগ্য ও সমান্তরাল ধারায় চলবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ভারত ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে আশা তাদের। তরুণদের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি বাণিজ্য বৃদ্ধির আশা করছে দুই দেশ।





