যুদ্ধবিরতির পর অষ্টম দিনের মতো গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। গতকাল (সোমবার, ২৪ মার্চ) একরাতেই নতুন করে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৩ ফিলিস্তিনি। যাদের মধ্যে একজন আল-জাজিরার সাংবাদিক। ইসরাইলে হত্যাযজ্ঞের দায় হামাসকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে, ফিলিস্তিনিদের ওপর তাণ্ডব চালানোর প্রতিবাদে ইসরাইলি ভূ-খণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি ও গাজার প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদি গোষ্ঠী।
বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশে যখন ভোর হয় আজানের শব্দে, তখন গাজার ফিলিস্তিনিদের ঘুম ভাঙ্গে গোলাবারুদ ও বোমার শব্দে। পবিত্র এই রমজান মাসেও দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা গাজায় আগ্রাসী অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি দখলদাররা। এতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ইসরাইলিদের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না গণমাধ্যমকর্মীরাও। সোমবার আইডিএফের হামলায় নিহত হয়েছেন হোশাম সাবাত নামে আল-জাজিরার এক সাংবাদিকসহ দুই গণমাধ্যম কর্মী। উপত্যকাটির বেইত লাহিয়ার অঞ্চলে আল-জাজিরার সাংবাদিকের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে ইসরাইলি সেনারা। আর এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাবাত।
সাংবাদিক হত্যাসহ ইসরাইলে যত হত্যাযজ্ঞ ঘটছে এর সব দায় হামাসকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইসরাইলের তেল আবিবের কাছে বেন গুরিওন বিমানবন্দরে ফের হাইপাসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুথি গোষ্ঠী।
সে সময় জরুরি সাইরেন বাজিয়ে তেল আবিব ও জেরুজালেমে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়। এ নিয়ে গেল সাত দিনে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো হুথিরা। অবশ্য ক্ষেপণাস্ত্র দুটিকে ভূ-পাতিত করার দাবি করেছে আইডিএফ।
হুথি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেন, ‘তেল আবিবের বেন গুরিওয়ন বিমানবন্দরটি লক্ষ্য করে একটি প্যালেস্টাইন টু হাইপাসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও আরেকটি দুলফিকার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়। সফলভাবে ইসরাইল ভূ-খণ্ডে আঘাত করে তা।’
একইদিন গাজার উত্তরাঞ্চল থেকেও রকেট হামলা হয় ইসরাইলে। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে প্যলেস্টাইন ইসলামিক জিহাদী গোষ্ঠী। তাদের এই হামলা প্রতিহত করার দাবি আইডিএফের। যদিও এতে কোন হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে তেল আবিব।