এক দশক পর ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ৯০টি আসনে তিন দফায় ভোট হয়। যেখানে কাশ্মীরের ইতিহাসে রেকর্ড ৬৩ শতাংশ ভোট পরে। ভূস্বর্গ হিসেবে পরিচিত এই উপত্যকায় ২০১৪ সালে মেহবুবা মুফতির দল পিডিপির সঙ্গে জোট বেধে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। ২০১৮ সালে বিজেপি জোট ত্যাগ করলে অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ে জম্মু-কাশ্মীর।
২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিল করে এই উপত্যকাকে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ অংশে ভাগ করে মোদী সরকার। শাসন ক্ষমতা নেয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। এতে হিন্দু শাসিত জম্মুতে ৬টি আসন বাড়ে আর মুসলিম প্রধান কাশ্মীর অঞ্চলে বাড়ে একটি আসন।
বিশ্লেষকদের মতে, কাশ্মীরে নিজেদের সরকার গঠনে এই পরিকল্পনা নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।
নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মুতে বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছে। তবে সরকার গঠনের পরিকল্পনায় ব্যর্থ হয় মোদীর। এই অঞ্চলগুলোতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও চারটি জনসভা করেন।
নির্বাচনী ইশতেহারে জম্মু-কাশ্মীরের অখণ্ডতা নিয়ে প্রচারণা চালায় ওমর আব্দুল্লাহর দল ন্যাশনাল কনফারেন্স। তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে জোট বাঁধে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর অঞ্চলের বেশিরভাগ আসন পেয়েছে এই জোট। কেন্দ্রের শাসন থেকে মুক্তি ও উপত্যকার অখণ্ডতার জন্য এই জোটের ওপর ভরসা রেখেছে বাসিন্দারা।
কাশ্মীরের মুসলিমদের ভোট কাড়তে বিজেপি সরকার জোটের প্রার্থীদের ওপর ভরসা রেখেছিল। কয়েকটি আসনে মুসলিম প্রার্থীও দেয় বিজেপি। তবে মুসলিম ভোটাররা বিজেপির সব পরিকল্পনা ও নীতিকে প্রত্যাখ্যান করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জনে কেন্দ্রের সঙ্গে কতটুকু পেরে উঠবে এনসি-কংগ্রেস জোট তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। তবে নির্বাচনী ফলাফলে নিজেদের অখণ্ডতার দাবি জোরালো করেছে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ।