ফারাক্কা বাঁধের পানি ছাড়ায় নদী এবং গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার ভাঙনে প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে মানচিত্র। গঙ্গার ভাঙন জাতীয় সমস্যা হলেও সাম্প্রতিক এ দুর্যোগে হাত গুটিয়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নীরব ভূমিকায় ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।
এরই প্রতিবাদে বুধবার ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজারের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। অবিলম্বে মালদার ভাঙন কবলিত কেন্দ্র বৈষ্ণবনগর থেকে মানিকচক ব্লক পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার গঙ্গার পাড় স্থায়ীভাবে সংস্কার না করলে ব্যারেজ ম্যানেজারের কার্যালয় ঘেরাও করে রাখার হুঁশিয়ারিও দেন ।
দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, একের পর এক জমি নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। বাড়ি-ঘর ধসে যাচ্ছে, মানুষ রাস্তায়। আমরা তাদেরকে বসবাসের জায়গা দিতে পারছি না। সব স্কুল বন্ধ মালদাতে।
১২০ কিলোমিটার ডিমান্ড পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মিছিল মিটিং চলবে। আর ভিতরে আমরা যারা প্রতিনিধি আছি তারা জিএম সাহেবের কাছে বসে থাকব, বলেও জানান ফারাক্কা ব্যারেজ প্রোজেক্ট, আর, ডি, দেশপান্ডে।
প্রতিবেশী দুই রাজ্য ত্রিপুরা ও মণিপুরে চলমান বন্যায় পানির চাপ বাড়ায় গেল সোমবার খুলে দেয়া হয় ফারাক্কা বাধের ১০৯টি গেট। ছাড়া হয় দৈনিক ১১ লাখ কিউসেক পানি। এতে তলিয়ে যায় মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার বহু এলাকা। দেখা দেয় ভাঙন। বিপাকে পড়েন এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা।
পানির চাপ বাড়ায় বাঁধ রক্ষায় বাধ্য হয়ে গেট খুলে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে কবে ভাঙন সমস্যার সমাধান হবে, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন ফারাক্কা বাঁধ সংলগ্ন এলাকার দুর্গত বাসিন্দারা।