সাঁড়াশি অভিযানের পর এখনও মেলেনি নেপালের ত্রিশুলী নদীতে ভেসে যাওয়া ৫১ বাসযাত্রীর সন্ধান। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দুরে চিতওয়ান জেলায় দুর্ঘটনা কবলিত আরোহীদের সন্ধানে নিরলস অভিযান চালাচ্ছে ৫ শতাধিক উদ্ধারকর্মী। শুক্রবার (১২ জুলাই) ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের কবলে ত্রিশুলী নদীর শিমলতল পয়েন্টে পড়ে যায় দু'টি যাত্রীবাহী বাস।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নিখোঁজ যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে বাসের পর্দা ও এক যাত্রীর পোশাক। বেঁচে ফেরা এক যাত্রী দিয়েছেন দুর্ঘটনার বিবরণ।
তিনি বলেন, 'হঠাৎ করেই রাস্তার থেকে মাটি আর কাদা সরে যাচ্ছিলো। পরিস্থিতি আঁচ করেই আমি বাসি থেকে লাফ দেই। আমি বাসের সামনের অংশে ছিলাম। মাত্র ৩ জন বেঁচে ফিরতে পেরেছি।
এদিকে দুর্ঘটনার পর বৈরি আবহাওয়ায় রাতে গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করছে নেপাল সরকার। চলতি বর্ষা মৌসুমে হিমালয় কন্যা খ্যাত দেশটিতে ভারী বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা প্রায় শতকের ঘরে।
কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না আসামের বন্যা পরিস্থিতি। ব্রহ্মপুত্র ও কুশিয়ারাসহ চারটি নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপরে। শুক্রবার একদিনে রাজ্যটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন। এ নিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যটিতে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে শতকের ঘর। পানিবন্দি ২৪টি জেলার প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষ।
ভয়াবহ এ বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ধুবরি জেলা। ২ হাজার ৪০০ এরও বেশি গ্রামে এখনও পানির নিচে প্রায় ৩৩ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। রাজ্যের ৩১৬টি রিলিফ ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৩ লাখ বাসিন্দা। বন্যার পানি বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে গবাদি পশু ও জাতীয় উদ্যানে প্রাণী মৃত্যুর সংখ্যা।
উত্তর প্রদেশের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত। ৩টি নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপরে। বন্ধ হয়ে গেছে উত্তর প্রদেশের সঙ্গে দিল্লিকে সংযোগকারী জাতীয় মহাসড়ক। বন্যা কবলিত বাসিন্দার সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ লাখ। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আসাম ও উত্তরপ্রদেশসহ কয়েকটি রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাই শিগগিরই বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই।